শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধু। বিয়ে করার পর শ্বশুরবাড়িতে মেনে নিচ্ছিল না অষ্টাদশী গৃহবধূকে। বিয়ের পর কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও ব্যাপক ভাবে নির্যাতন চালানো হয় ওই গৃহবধূর ওপর, এমনকি মোটা টাকা পণ না নিয়ে আনলে গ্রহণ করা হবে না শ্বশুরবাড়িতে বলে অভিযোগ । এনিয়েই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অষ্টাদশী ওই গৃহবধূ ।
অবশেষে নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলো ওই গৃহবধূ। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও নারী নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত গৃহবধূর পরিবার । ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ী সারোদা কলোনি এলাকায়। সোমবার রাতে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মধুমিতা রায় (১৯)। মধুমিতা গত বছর লকডাউনের সময় ভালোবাসে মঙ্গলবাড়ী নলডুবি এলাকার এক যুবককে পালিয়ে বিয়ে করে। এরপর বেশ কয়েক দিন সংসার করে। তারপর থেকেই শুরু হয় ওই মধুমিতার ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বেড়াতে আসার নাম করে মধুমিতাকে তার স্বামী দীপঙ্কর কর্মকার বাবার বাড়িতে রেখে চলে যায় । তারপর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে স্বমী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ।
আর ও পড়ূন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সকলের প্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
এর ফলে মধুমিতা তার বাবার বাড়িতেই থাকতে শুরু করে। তার ওই গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে মধুমিতা তার শ্বশুর বাড়ি গেলে তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় তার শাশুড়ি-জা সহ পরিবারের অন্যান্যরা ।
তাকে মারধর দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর সে রাতে মায়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়। আত্মঘাতী কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির শশুর -শাশুড়ি,জা এবং জামাই মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধু। বিয়ে করার পর শ্বশুরবাড়িতে মেনে নিচ্ছিল না অষ্টাদশী গৃহবধূকে। বিয়ের পর কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও ব্যাপক ভাবে নির্যাতন চালানো হয় ওই গৃহবধূর ওপর, এমনকি মোটা টাকা পণ না নিয়ে আনলে গ্রহণ করা হবে না শ্বশুরবাড়িতে বলে অভিযোগ। এনিয়েই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অষ্টাদশী ওই গৃহবধূ । অবশেষে নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলো ওই গৃহবধূ। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও নারী নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত গৃহবধূর পরিবার ।
ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ী সারোদা কলোনি এলাকায়। সোমবার রাতে ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।