গঙ্গাসাগরে রাত পোহালেই পুন্য স্নান, চলছে কড়া নজরদারি। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড বিধির নিয়ম কানুন মেনেই চলবে পুন্য স্নান।ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে তীর্থযাত্রীরা।তবে এবার যাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনেশন দেওয়া আছে এবং ৭২ ঘন্টা আগে কোভিড টেষ্ট করতে হচ্ছে।যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ তারাই গঙ্গাসাগরে প্রবেশ করতে পারছে।
শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে মকর সংক্রান্তির পুন্য স্নান। গঙ্গা সাগর মেলা কর্তৃপক্ষ এবার ২৫টি ড্রোনের ব্যাবস্থা করেছে। একটি ড্রোন এর মাধ্যমে স্যানেটাইজ করা হচ্ছে। আর একটি ড্রোনের মাধ্যমে স্নান করানো হচ্ছে। ৫০ জন করে পুণ্যার্থীকে প্রতি বারে স্নান করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে গঙ্গাসাগরে তৈরি করা হয়েছে সেভ হোম।
আর ও পড়ুন কলকাতা পুরসভার প্রায় ৩২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত, জানালেন অতীন ঘোষ
অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলা ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুরে ফেলা হয়েছে।বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি।এমনকি গঙ্গাসাগরে খোলা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম।এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা হবে কি না হবে তা কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট মেলা করার জন্য অনুমতি ও দেয়।কড়া কোভিড বিধির নিয়ম কানুন মেনেই চলবে গঙ্গাসাগর মেলা।ফলে করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের পরিকল্পনা নেয়।
এদিকে গঙ্গাসাগরের তৈরি করা হয়েছে একটি মিউজিয়াম, এই মিউজিয়ামে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর মেলার সময় এসে গঙ্গাসাগর সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারবে। এই বছর একটি অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ,গঙ্গাসাগরের পুণ্য জল “পুণ্য তরী”মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে, যে সকল পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসতে পারছেন না সেই সকল পুণ্যার্থীরা জেলার বিভিন্ন মন্দির থেকে এই পূণ্য জল সংগ্রহ করতে পারবে।
এদিকে মেলা চলাকালীন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ কে এবং গভীর স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম কানুন মেনেই যেকোনো জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না।এমনকি সকল পুণ্যার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে হচ্ছে।