ইংরেজবাজার পুর এলাকায় নির্বাচনের রণকৌশল তৈরীর জন্য বৈঠক। পুরসভা নির্বাচন আসন্ন। তাই ইংরেজবাজার পুর এলাকায় নির্বাচনের রণকৌশল তৈরীর জন্য ওয়ার্ড কো-অডিনেটর ও ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক হয় মালদা শহরের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে। যদিও সেই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা তথা প্রাক্তণ মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির আয়োজিত সভায় তাকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ২২টি ওয়ার্ডে বিজেপি অতুলনীয় ফল করেছে। এমন অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি পুরবাসীর আস্থা ফেরাতে বদ্ধপরিকর জেলা নেতৃত্ব। তাই মালদা জেলা পরিষদের বিনয় সরকার অতিথি আবাসে পুর এলাকার কো-অর্ডিনেটর ও ওয়ার্ড কমিটির নেতৃত্বদের নিয়ে বেঠকের ডাক দেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি।
কিন্তু সেই বৈঠকে ব্রাত্য কৃষ্ণেন্দু। দীর্ঘ ১০বছরের বেশী সময় ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবুও তিনি বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়াতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বরা জানান অসুস্থতার জন্য তিনি আসেন নি। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আর ও পড়ুন বেলতলিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, এলাকায় উত্তেজনা
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী দাবী করেন তিনি কোন আমন্ত্রণই পান নি। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, তিনি সুস্থ রয়েছেন কোর্টে কাজকর্ম করেছেন। তাকে আমন্ত্রণ না জানালে আগন্তুক এর মত তিনি বৈঠকে যাবেন না। জাগলেরি সিস্টেমে দল চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
যদিও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দাবি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর। তিনি বলেন অসুস্থতার কারণে কৃষ্ণেন্দু বাবু বৈঠকে হাজির হতে পারেননি।এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য পুরো এলাকায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন পুরসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই এই বৈঠক।
যদিও তৃণমূলের এই বৈঠককে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ বলেন, নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারার নিয়েই সব গন্ডগোল।সাত বছরে যে ভাবে তৃণমূল পৌরসভা চালিয়েছে তাতে মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।