অণ্ডালে সহকারী লোকো পাইলটকে গলা টিপে খুন

অণ্ডালে সহকারী লোকো পাইলটকে গলা টিপে খুন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
পাইলটকে

অণ্ডালে সহকারী লোকো পাইলটকে গলা টিপে খুন।  দেহ উদ্ধার আবাসন থেকে, কারণ খুঁজতে তদন্তে পুলিশ
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অণ্ডাল থানার ১৩ নং রেল কলোনিতে এক রেল কর্মীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করার  অভিযোগ উঠলো। পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারায় একটি খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।

 

কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। এদিন সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার রেল কলোনি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত রেল কর্মীর নাম সত্যেন্দ্র কুমার ভাস্কর (৪০)। তার বাড়ি বিহারের পাটনাতে। তিনি পূর্ব রেলের  আসানসোল ডিভিশনে রেলের সিনিয়র সহকারী লোকো পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেনএদিন সকালে ঘটনার খবর পেয়ে অণ্ডাল থানার পুলিশ ও অন্ডাল রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তের জন্য পরে ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশে এসিপি ( অন্ডাল) তাহেদ আনোয়ার।

 

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিন দুপুরে রেল কর্মীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তারপরই জানা যায়, তাকে খুন করা হয়েছে।ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের অন্ডাল শাখার সম্পাদক বিকাশ প্রসাদ জানান, স্থানীয়দের থেকে সত্যেন্দ্রর সাথে যোগাযোগ না হওয়ার কথা জানতে পারি। আমিও অনেকবার ফোন করলেও ফোন ধরেনি সত্যেন্দ্র। তাই তার বাড়িতে আসি তখন দেখি ঘরের দরজা খোলা। ঘরের মধ্যে অন্ধকার।

 

ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখি সত্যেন্দ্র তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি আরো বলেন, গত দুমাস ধরে বাড়িতে একা ছিলো। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় দুমাস আগে সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পাটনা যায়। সেই কারণে রেল কর্মী আবাসনে একাই থাকতো। রেল কর্মীর আত্মীয় ও এলাকার বাসিন্দারা জানান, সত্যেন্দ্র কুমার ভাস্করের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে তাদের অনুমান।

 

আর ও পড়ুন    নবান্নের কাছে বোমাতঙ্ক, প্রশ্নের মুখে হাওড়া সিটি পুলিশ এর নজরদারি

 

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রূপেশ যাদব ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিষয়টির খোঁজ নেন। ঘটনার পেছনে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি পুলিশের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা এলাকার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের ঘটনা এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। খুন হয়ে থাকলে পুলিশের উচিত দোষীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ডিউটি করে ঐ রেল কর্মী আবাসনে আসেন। তারপর কেউ তাকে বাইরে দেখেনি। স্ত্রী সহ অনেকেই তাকে ফোন করেছিলো। কিন্তু সে ফোন ধরেনি। মঙ্গলবার রাতে দূষ্কৃতিরা তাকে খুন করেছে। পরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি ( অণ্ডাল) তাহেদ আনোয়ার বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top