পদ্মে অস্বস্তি ,বিজেপির দুই বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন । পদ্মে অস্বস্তি অব্যাহত। একের পর এক দলীয় হোয়াটস আপ গ্রুপ ত্যাগ ও ক্ষোভের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দেওয়ার পর এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে নিজেদের ব্যাক্তিগত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়েছেন বাঁকুড়ার দুই বিজেপি বিধায়ক। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই চিঠিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার ১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টিতে জয়লাভ করে বিজেপি। জয়লাভের পরই প্রতিটি বিজেপি বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। পরে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃনমূলে যোগ দেন। বাকি সাত বিজেপি বিধায়কের এখনো কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে। জানা গেছে প্রতি বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচ জন করে সি আই এস এফ।
সম্প্রতি সেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়ার আবেদন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা ও ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া। ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা দাবি করেন প্রথম থেকেই তিনি এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না। এখন ব্যাক্তিগত অসুবিধার কারনে সেই নিরাপত্তারক্ষী ছাড়তে চাইছেন। কিন্তু কী সেই ব্যাক্তিগত অসুবিধা এদিন তা খোলসা করেননি বিধায়ক। তবে এই তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
আর ও পড়ুন পাথর প্রতিমার বিধায়ক বহুমুখী ঝড় কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন
বর্তমানে সাংগঠনিক রদবদলে যখন বেসামাল বিজেপি সেই সময় এই চিঠিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শুধুই কী ব্যাক্তিগত কারন নাকি অন্য কোনো রাজনৈতিক সমীকরণে এই ব্যাক্তিগত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী ছাড়তে চান ওই দুই বিজেপি বিধায়ক? তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা।
অন্যদিকে ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া জানায় এটা অভ্যন্তরীন ব্যাপার এটা দলের ব্যাপার এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না। দল ছেড়ে তৃণমূলে যাবার চিন্তা রয়েছে কিনা সেই বিয়ষে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান ইন্দাস বিধানসভার প্রতিটি মানুষ আপামর জনগন আমাকে আমাকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচন করেছেন তাদের চাওয়া পাওয়া একটা থাকতে পারে আমি জনগন উন্নয়নে সামিল হয়েছি এবং সেই ব্রত নিয়ে আমাকে যেখানে যেতে হয় যাবো তৃণমূল কেন হাইকমান্টের কাছে যেতে হলে যাবো।