টালা ব্রিজ কবে শুরু হবে? কী জানালেন মন্ত্রী? সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই চালু হতে পারে উত্তর কলকাতার অন্যতম লাইফলাইন টালা ব্রিজ। শুক্রবার ব্রিজ পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিজ পরিদর্শনে এসেছিলেন কাশিপুর বেলগাছিয়ার স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
১৯৬২ সালে তৈরি হওয়া টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে এই ব্রিজ। পরেই সেতু বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস পরামর্শ দেয় সেতুটি ভেঙে ফেলার। সেইমতো দফায় দফায় রিপোর্ট পাঠানো হয় নবান্নে। সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সেতু ভাঙার পক্ষেই সওয়াল করেন। এমনকি রিপোর্ট পেশ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে সেতু ভাঙার অনুমতি দেয় রেল এবং নবান্ন।
এরপর ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে সম্পূর্ন যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এই সেতুতে। এর কিছুদিনের মধ্যেই সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। তারপর থেকে দু’বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হবে জানানো হলেও করোনার কারণে সে কাজ থমকে ছিল বেশ কিছুদিন। এর পর ফের কাজ শুরু হলে পূর্তমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যেতে পারে এই সেতু।
আর ও পড়ুন প্রাপ্ত বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাংলা অনেক পিছিয়ে, অভিযোগ অধীরের
উত্তর কলকাতার সঙ্গে কলকাতা সহ গোটা শহরতলীর যোগাযোগের সহজতর মাধ্যম এই টালা ব্রিজ তৈরি হচ্ছে একেবারেই অত্যাধুনিক রূপে। জানা গিয়েছে, ৬১০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৪মিটার প্রস্থ হবে এই নতুন ব্রিজের। যা আগের তুলনায় সাড়ে ৫ মিটার মত বেশি।যার মধ্যে ২৪০ মিটার থাকবে রেল লাইনের উপরে। ৪ লেনের ব্রিজ হবে এটি। ৩৫০টন ওজনের বহন ক্ষমতা সম্পন্ন। যা আগের থেকে ১০০ টন বেশি ওজন বইতে সক্ষম।
এছাড়াও নাট বোল্ট বিহীন এই ব্রিজ তৈরি হবে অনেকটাই দ্বিতীয় হুগলি সেতু আদলে। এদিকে নাট বোল্ট ব্যবহার না করার ফলে কাঠামোর স্থায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যাবে৷ ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে মূল নকশাটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ ব্রিজটি তৈরি করতে খরচ পড়ছে ৪৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ব্রিজ তৈরি করতেই খরচ হচ্ছে ৩৪৮ কোটি টাকা। বাকি টাকা খরচ হচ্ছে আনুষঙ্গিক কাজে।