লালগড় রেঞ্জের কন্যাবালির জঙ্গল থেকে উদ্ধার ছাগল ও ভেড়ার মৃতদেহ, বাঘ আতঙ্ক। মেদিনীপুর বন বিভাগের অন্তর্গত বন দপ্তরের লালগড় রেঞ্জের অধীন লক্ষণপুর ,কুমিরকাতা ও কন্যাবালি এলাকার জঙ্গলে,মাঠে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে রীতিমতো বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম দেখা গিয়েছিল অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ কুমিরকাতার জঙ্গলে বুধবার দেখা যায় লক্ষণপুর এলাকায়, বৃহস্পতিবার দেখা যায় কন্যাবালি এলাকায়।
বৃহস্পতিবার কন্যাবালি গ্রামের গোপাল কিস্কুর একটি ছাগল ও ভেড়া নিখোঁজ হয়ে যায়। চারিদিকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুর নাগাদ কন্যাবালির জঙ্গলের ছাগল ও ভেড়ার মৃত দেহ দেখা যায় এবং তাদের ভুঁড়ি টেনে বার করে খেয়ে নিয়েছে অজানা জন্তু। যার ফলে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
কন্যাবালি গ্রামের বাসিন্দা বিমলা মাহাতো শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ কন্যাবালির জঙ্গলে দুটি অজানা জন্তুকে দেখতে পায়। তিনি রীতিমতো জঙ্গল থেকে আতঙ্কে ছুটে আসেন বাড়িতে।তিনি নিজের চোখে দুটি অজানা জন্তু কে দেখেছেন বলে গ্রামবাসীদের জানান। ওই গ্রামের বাসিন্দা হর শংকর মাহাতো বলেন 2018 সালের স্মৃতি ফের ফিরে আসছে।
আর ও পড়ুন পথ কুকুরদের খাবারের সাথে কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ
সেবারেও বনদপ্তর এর আধিকারিকরা বলেছিল হায়না ও নেকড়ে। এবারও একই কথা বলছে। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা যে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে তা আসলে বাঘের পায়ের ছাপ হবে। তাই রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। 2018 সালের যে ভাবে ছাগল গরুর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
সেই ঘটনার দিকে এগোচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা জানান।তাই ওই এলাকার বাসিন্দারা কেউ গরু ও ছাগল জঙ্গলে চরাতে নিয়ে যাচ্ছে না। 2028 সালে দেখা গিয়েছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে। সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাঘঘরার জঙ্গল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল বনদফতর ।
তাই যে কোনো সময় অজানা জন্তু গ্রামে ঢুকে হামলা করতে পারে বলে গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন। যার ফলে অজানা জন্তুর আতঙ্কে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তাদের আশঙ্কা অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ নয় আসলে ওই পায়ের ছাপ বাঘ এর হবে। তবে দুটি অজানা জন্তু দেখেছে বলে বিমলা মাহাতো গ্রামবাসীদের জানান। যার ফলে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।