হালিশহর বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, এর আগে নৈহাটিতে বাজি কারখানার নাম করে বিস্ফোরন হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল বাজি কুটির শিল্প তাহলে এখন কি বলবে রাজ্য পুলিশ। বিজেপি কে দোষ দেওয়া হচ্ছে কারন যাকে ধরা হয়েছে সে বিজেপি কর্মী, কিন্তু সে আহত দের উদ্ধার করতে গেছিল। আর কেউ কি নিজের বাড়ির সামনে বোমা লুকিয়ে রাখে।” হালিশহর বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ধৃত অভিযুক্ত কে বিজেপি কর্মী বলে স্বীকার করে নিয়ে এই ঘটনায় এনআইএর তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
প্রসঙ্গত হালিশহর জগন্নাথ ঘাটে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১ জন মৃত,২ জন নিখোঁজ ও একাধিক আহত হয়েছে। সেই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। তৃণমূল ও বিজেপি তে শুরু হয়েছে অভিযোগ প্লাটা অভিযোগের পর্ব। আর তাতেই অর্জুন সিং এর দাবি সারা বাংলা তো বিস্ফোরকের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আর তদন্ত না করে বিজেপির ওপর দায় চাপানো কোন মানে নেই এর জবাব সাধারন মানুষ দেবে। অন্য দিকে
হালিশহর কোনা কলোনির জগন্নাথ গঙ্গা ঘাটের বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে বোম ডিস্পোসাল স্কোয়াড। সেখানে আরও বোমা মজুত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পাশাপাশি গতকাল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যে দুজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় বিস্ফোরনে তারা গঙ্গায় ছিটকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই গঙ্গায় নামানো হয়েছে ডুবুরি। তল্লাশী চালানো হচ্ছে জোর কদমে। পাশাপাশি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধরা পড়ে বোমা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত বিট্টু জয়সওয়াল ও তার এক সঙ্গী গঙ্গার ধার দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায়।
ক্ষিপ্ত জনতা গণ ধোলাই দেবার পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। উল্লেখ্য বীজপুর থানার হালিশহর কোনা মোড়ের জগন্নাথ ঘাটের ধারে বৃহস্পতিবার বিকেলে বোমা বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে মৃত এক যুবক। তাঁর নাম সুমিত সিং (১৯)। তাঁর মৃতদেহ ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের জন্য ব্যারাকপুরের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের পর দুই যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আহত আরও তিন- চারজনকে কল্যাণী স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে বিকট শব্দ শুনে তারা ঘাটের পাশে ছুটে যান।
আর ও পড়ুন মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকে যুগেও শিশু মনে জায়গা নিচ্ছে পুতুলনাচ
সেখানে তারা কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখে। ঘটনার তদন্তে যান বীজপুর থানার পুলিশ ও ডিসি নর্থ শ্রীহরি পান্ডে-সহ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অধিকারিকরা। রাতেই ঘটনাস্থলে সরজমিনে তদন্তে যান ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল সিং বলেন, বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে কাকার ছেলে সুমিত সিংয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তিনি ।
নিজের ভাই রোহিত সিং ও তার বন্ধু রোহিত চৌধুরীর খোঁজ মেলেনি। তবে ধপধপ করে দুজনকে গঙ্গায় পড়তে দেখেছি। তবে পরপর দুটি বোমা ফেটে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আহত এখনও পরিষ্কার নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।