ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গৃহবধুকে খুন, দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ভাঙড়ে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৫ পরগনার কাশিপুর থানার পোলেরহাটে। মৃত গৃহবধূর নাম মরিয়ম বিবি(৩৫)। প্রায় ১৫ বছর আগে শাকশহর গ্রামে বিয়ে করেছিলেন পোলেরহাট এর বাসিন্দা আরশেদ আলী মোল্লা। দুই কন্যা সন্তান এবং এক পুত্র সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার চলছিল।
কিন্তু আরশেদ আলী মোল্লার অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা মরিয়ম বিবি জানতে পারে। এই নিয়ে প্রায় অশান্তি হতো নিজেদের মধ্যে। শনিবার সকালে মরিয়ম বিবি উঠছে না দেখে তার ছেলে মেয়েরা ডাকতে যায়। কিন্তু কোনো সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরশেদ আলী মোল্লা। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরশেদ আলীর প্রেমিকাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে কাশিপুর থানার পুলিশ। মরিয়ম বিবিকে উদ্ধার করে তারা জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পাঠিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মৃত গৃহবধূর ছেলে জানায় তার বাবার অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক আছে।
সেই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায় অশান্তি হত। বাবা ওই মহিলাকে নিয়ে সংসার করবে বলেই মাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে দিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে পলাতক আরশেদ আলী মোল্লার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।
আর ও পড়ুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লো যুবক
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো ভাঙড়ে। মৃত মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খন্ড যুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে যখন জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশের গাড়ি আটকে মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করে। কিন্তু পুলিশ মৃতদেহ দিতে না চাইলেই অশান্তির সূত্রপাত। প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
এই ঘটনায় মরিয়ম বিবির পরিবারের এক সদস্য আহত হয়েছে। এই ঘটনায় কাশিপুর থানার এক পুলিশ কর্মী ও ব্যাপকভাবে জখম হয়েছে। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় কাশিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।