ঝাড়গ্রামের নয়াগ্ৰামের বড়খাঁকড়ি অঞ্চলে হাতির হানায় মৃত মহিলা। রবিবার সকালে প্রাতঃকৃত্যে বেরিয়ে হাতির হানায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু এক প্রৌঢ় মহিলার।ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামে।মৃত মহিলার নাম ইচ্ছামতী বেরা,বয়স ৬৫ বছর।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতি দিনের মত ইছামতী দেবী রবিবার সকালে বাড়ি লাগোয়া জমিতে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গলের হাতি ধরে ফেলে ওই প্রৌঢ় মহিলাকে। এবং সঙ্গে সঙ্গে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে ইচ্ছেমতী বেরাকে। গ্রামের একজন দরিদ্র পরিবারের মহিলা হাতির হানায় মারা যাওয়ায় রামচন্দ্রপুর এলাকায় যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সেরকম দিনের পর দিন হাতির হানা হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
পাশাপাশি নয়াগ্ৰামের বনাঞ্চলে নিয়মিত হাতি অবস্থান করা সত্ত্বেও বন দফতরের উদাসীন বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি হাতি নিয়মিত এলাকায় বসবাস করছে।রাত বিরেতে এলাকার মানুষের ফসল নষ্ট থেকে শুরু করে ভাঙ্গছে ঘরবাড়ি।মাঝে মধ্যে হাতির হানায় প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের, কিন্তু হাতি তাড়াতে কিংবা হাতি গাইড করতে বন দফতরের কোন রকম সদর্থক পদক্ষেপ নেই।
আর ও পড়ুন নৌকায় ঝাঁপ মেরে মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে গেল সুন্দরবনের বাঘ
তবে রামচন্দ্রপুর গ্রামের এই অসহায় পরিবারের এক মহিলার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন।বন দপ্তরের সুত্রে জানা গেছে নয়াগ্ৰামের তপোবন এলাকায় বসবাসকারী একটি হাতির দলকে গতকাল অর্থাৎ শনিবার তাড়াবার চেষ্টা করা হলেও কোনক্রমে আবার ফিরে এসেছে হাতিগুলো।
যার কারণে এই ঘটনা। নয়াগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই এলাকায় হাতির পাল থাকায় এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।