যার যার নিজের দপ্তরে কাজের দিকে নজর রাখতে হবে, আইএএস আইপিএসদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর । আইএএস আইপিএসদের ও জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যার যার নিজের দপ্তরে কাজের দিকে নজর রাখতে হবে। উপরতলার অফিসাররা নিচের তলায় কাজ ঠেলে দেন। ওপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় রিপোর্ট দেন কাজ হয়ে গেছে। এটা চরম অবহেলার প্রতিচ্ছবি ।সরকারি কাজে গাফিলতি বরদাস্ত নয়। 72 শতাংশ মানুষ কে আমরা সেকেন্ড ডোজ দিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরো বাড়াতে হবে।
পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে। 1 কোটি 50 লক্ষ মানুষকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে.।নিজের দপ্তরে কাজের খেয়াল রাখতে হবে ,শুধু পয়সা দিলাম ,আর মেলা করলাম সেটা হলে চলবে না।স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি ও অসহযোগিতা করছে ।কোন ও ব্যাংক না দিলে সমবায় ব্যাংক ঋণ দেবে ।যে সমবায় ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না তার কাছে জবাব চাওয়া হোক। ব্যাংক যে দয়া করছে না সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে।
সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে ছাত্রদের ঋণ দিতে হবে ।রাজ্যের রাজস্ব আদায় কোভিড আবহে কমেছে। মানুষের সব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্য এখনো 90 হাজার কোটি টাকা পায়। বাজেটবহির্ভূত খরচ যেন না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলবে নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না।কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান , বীরভূমের মতো জেলা পিছিয়ে। 100 দিনের কাজে আরো জোর দিতে হবে।পঞ্চায়েত দপ্তরের কাজে আরো জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন বারাসতে আকাশের নীচে চালু হল ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’
আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেশি অভিযোগ আসছে। পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন ?সীমান্ত এলাকায় কেউ কেউ পয়সা তুলছে এটা চলবে না। সীমান্ত এলাকায় গোটা দায়িত্ব পরিবহন দপ্তর কে দেওয়া হচ্ছে। 7 তারিখের মধ্যে পরিবহন দপ্তরের যেন পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেয়। যা আয় হবে তা ট্রেজারিতে জমা হবে, সরকারের প্রকল্পে কাজে লাগবে।কাজ নিয়ে অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন।
যোগ্য লোকজন ভাতা পাচ্ছেন কিনা দেখতে হবে। প্রতি মাসের 10 তারিখের মধ্যে যেন ভাতা-র টাকা একাউন্টে ঢুকে যায় ,এটা জেলাশাসকদের নিশ্চিত করতে হবে। কিছু কিছু প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কাজ করেন না। তাদেরকে এবার থেকে কাজ করতে হবে ।মানুষ সচেতন হলে ওমিক্রণ ,করোনা দুর্বল হয়ে যাবে ।লড়তে লড়তে করোনা হতোদ্যম হয়ে পড়বে।গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি এখন আরও উন্নত করতে হবে।
কোন মানুষ সেখানে গেলে যেন প্রাথমিক পরিষেবাটা যেন পায়।তোমাকে কি রাজ্যপাল ফোন করেছেন ?হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে অভিযোগ আসছে। অনেকদিন বলা হয়েছে কিছু করা হয়নি।এটা ওটা করো না এসব নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। কারো কথা না শুনে কাজ করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে তিরস্কার করে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।