সরস্বতী পুজোর পরের দিন অর্থাৎ আজ বাসি ভাতের পরব পুরুলিয়ায়। সরস্বতী পুজোর নয় রকম তরি তরকারি মাছ রান্না করে পরের দিন বাসি করে খাওয়ার নিয়ম প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে।আজ রাঙামাটি পুরুলিয়ার কোন বাড়িতে উনুন জ্বলেনা হয়না কোন গরম রান্না।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাসি খাবার খাওয়া।পুরুলিয়া এই উৎসব সিজানো পরব নামে পরিচিতি।আজ বাসি ভাতের পরবে মজেছে পুরুলিয়া।
সিজানো পরব উপলক্ষ্যে বাসিভাতের প্রস্তুতি দেখা গেল পুরুলিয়ার প্রান্তিক শহর ঝালদায়। জানা যায় সরস্বতী পুজোর দিন রান্না করে তার পরের দিন বাসি খাবার নিয়ম প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে পুরুলিয়ায়। রাঙ্গামাটি পুরুলিয়ায় সরস্বতী পুজোর দিন রান্না করার নিয়মকে সিজানো পরব বা বাসি ভাতের পরব বলা হয়ে থাকে সরস্বতী পূজার দিন সমগ্র পুরুলিয়া জেলার সাথে সাথে ঝালদাতেও ৯ রকমের সবজির পদ এবং মাছ রান্নার ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। ন রকমের শাক সবজির সাথে মাছ বিশেষ জরুরী।
পুরুলিয়ার বাসিভাতের পরবে মাছ প্রধান উপকরণ।সরস্বতী পুজোয় মাছের দাম যতই হোক বাড়িতে মাছ আসবেই।দু আড়াই কেজি মাপের রুই কাতলা থেকে চারাপোনা এদিন সব ধরণের মাছের পদ রান্না হয়।মাছের ঝাল মাছের ঝোল তেঁতুল দিয়ে চারাপোনার টক রান্না করা হয় শুধু মাত্র বাসি করে খাবার জন্য।দিনটিকে সিজানো পরব যেদিন আবার ষষ্ঠী পুজোর করার প্রচলন রয়েছে।
আর ও পড়ুন বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়র
সরস্বতী পুজোর দিন রান্না হয় তাই আজ কোন রান্না হয়না উনুন জ্বলেনা এবং হয়না শিল নোড়ার ব্যাবহার। শিলনোড়াকে ষষ্ঠী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়।অর্থাৎ এদিন উনুনের সাথে শিল নোড়াকে বিশ্রাম দিয়ে ষষ্ঠী দেবী হিসেবে পূজা করা হয় ।
আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাসিভাত খাওয়ার হিড়িক তুঙ্গে।বাসি ভাত খাওয়ার জন্য আত্মীয় কুটুম্বদের নিমন্ত্রণ করা হয়।পুরুলিয়া জেলার আর পাঁচটা পরবের সাথে বাসি ভাতের পরব অন্যতম। যার জন্য বছর ভর অপেক্ষা করে বসে থাকেন পুরুলিয়া শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ।