পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার কাজ শুরু করলেন মালদার শিক্ষকরা

পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার কাজ শুরু করলেন মালদার শিক্ষকরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
স্কুলমুখী

পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার কাজ শুরু করলেন মালদার শিক্ষকরা । করোণা সংক্রমণে জেরে প্রায় তিন বছরের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। সরকারি স্কুল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার কারণেই গ্রামীণ এলাকার দুঃস্থ পরিবারের অনেক পরিবারের পড়ুয়ারা শিক্ষার পথ থেকে নিজেদের সরিয়ে ফেলেছে। আর তা জানতে পেরে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছে পুরাতন মালদার কালাচাঁদ হাই স্কুলের স্কুলের শিক্ষকেরা।

 

ওই স্কুলের কয়েকজন ছাত্র , কেউ ধূপকাঠি বানানোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন । আবার কেউ মাছ ধরার জাল তৈরির কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। করোনার পরিস্থিতির মধ্যে রীতিমতো পড়ালেখাও ছেড়ে দিয়েছে ওরা। কিন্তু স্কুল যে খুলেছে । ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে। শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয়েছে । এই সম্পর্কে কিছুই জানা নেই পুরাতন মালদার গ্রামীণ এলাকার অনেক দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের।

 

আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কালাচাঁদ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুল রঞ্জন দাস, সহকারি শিক্ষক কমল কৃষ্ণ দাস সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা পুরাতন মালদার বেশ এলাকার পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলমুখী করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিল। বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন মালদার কালাচাঁদ হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়েকটি এলাকায় যান। আর সেখানে পড়ুয়াদের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের ।

 

যেমন পুরাতন মালদার পালপাড়া এলাকার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আকাশ হালদার বাড়িতেই পরিবারের লোকেদের ধূপকাঠি তৈরির কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছে। অপরদিকে পুরাতন মালদার জোড়াকালিস্থান এলাকার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র বিবেক হালদার বাড়িতে পরিবারের লোকেদের সাথে জাল তৈরি করার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছে।

 

আর ও পড়ূন    জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রচারে নামলেন ডিওয়াইএফআই নেতা

 

স্কুল পড়ুয়াদের এহেন পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশ মেনে স্কুল খুলেছে এবং সেই স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ে এসে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওই পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের জানিয়েছেন।যদিও দুঃস্থ এইসব পরিবারের পড়ুয়াদের বক্তব্য , করোনা সংক্রমনের জেড়ে প্রায় তিন বছর হতে চললো, স্কুল বন্ধ ছিল। কবে স্কুল খুলেছে জানতাম না।

 

এই পরিস্থিতির মধ্যে লেখাপড়া ছেড়ে বাড়ির লোকেদের রুজি-রোজগারের কাজে সাহায্য হাত বাড়িয়েছিলাম। তবে এদিন শিক্ষকেরা এসেছেন। তারা বলেছেন স্কুলে যেতে। তাই এবার থেকে স্কুলমুখী হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমাদের মধ্যে। কালাচাঁদ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুল রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর হতে চললো করোণা মহামারীর জেরে শিক্ষাব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।

 

তবে রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দ্রুত চাঙ্গা করতে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুল খোলার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে অনেক ক্লাসে পড়ুয়াদের সংখ্যা কম। কেন তারা আসছেন না, সেই তদারকি করতে এদিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছিলাম। কয়েকটি পরিবার বাড়িতে গিয়েই তাদের এই পরিস্থিতি দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। তবে এইসব পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার জন্য অভিভাবকদের সব রকম ভাবে জানানো হয়েছে। পড়ুয়ারা স্কুলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top