তৃনমূলের সমর্থনে গোর্খাদের জনজোয়ারে ভাসলো শিলিগুড়ি

তৃনমূলের সমর্থনে গোর্খাদের জনজোয়ারে ভাসলো শিলিগুড়ি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
গোর্খাদের

তৃনমূলের সমর্থনে গোর্খাদের জনজোয়ারে ভাসলো শিলিগুড়ি। ঐক্য সম্প্রীতির সমন্বয় বার্তা নিয়ে তৃনমূলের সমর্থনে গোর্খাদের জনজোয়ারে ভাসলো শিলিগুড়ি। বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারের শেষ দিনে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নরশিঙা বাদক নিয়ে গোর্খা সমুদয়ের মানুষ তৃনমূলকে জয়যুক্ত করতে বর্নাঢ্য পদযাত্রা করে। শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্ক থেকে এই পদযাত্রায় সামিল হন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

 

প্রায় ১০হাজার গোর্খা সম্প্রদায়ের পুরুষ মহিলা থেকে নতুন প্রজন্ম হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এই পুরনির্বাচনে তৃনমূলকে জয়যুক্ত করতে শহরের রাজপথে জুড়ে মিছিলে পা মেলায়। নরশিঙা সহ নেপালিদের প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে হাত শক্ত করতে পুরনির্বাচনে জোরাফুলের সমর্থনে শিলিগুড়ি পুরো এলাকার ৪৭ টি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দানের আবেদন জানান তারা।

 

এদিনের বিশাল এই পদযাত্রা বাঘাযতীন থেকে শুরু হয়ে শিলিগুড়ি এয়ার ভিউ মোড়ে সমাপন হয়। হিলকার্ট রোড পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন গত বুধবারও মতুয়া নমঃশূদ্র উদ্বাস্তু মানুষেরা পুরভোটে তৃণমূলের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে। শিলিগুড়ির উন্নয়নের স্বার্থে। এদিনও একই ভাবে গোর্খারা মানুষেরা যারা শিলিগুড়ি পুরোনিগম এলাকায় থাকেন তারা সকলে তৃনমূলের হয়ে রাস্তায় নেমেছেন।

 

এদিন শিলিগুড়ির মোট ৪৭টি ওয়ার্ডের তৃনমূল সমর্থিত গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশাল বর্নাঢ্য পদযাত্রা করে শিলিগুড়ির উন্নয়নের তৃণমূলকে ভোট দানের আওয়াজ তোলেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ তাদের এই মহা মিছিলের সামিল হন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। মন্ত্রী বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এই পদযাত্রা করেছেন গোর্খা ভাই বোন গুরুজনেরা। কারন তারা জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই উন্নয়ন-বিকাশ।

 

তাই তারা শিলিগুড়ির পৌর নির্বাচনে মসনদে তৃণমূলকে চাইছেন। তিনি আরও বলেন এই মিছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং সৌভ্রাতৃত্ববোধেরই আদর্শের পরিচায়ক। শিলিগুড়ির মানচিত্রে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্পষ্ট এদিনের মিছিল সে বার্তাই দিচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতিনিধি। যিনি ভাগাভাগি করেন না। সকলকে নিয়ে চলতে শিখিয়েছেন তিনি। এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ভারত জুড়ে একসঙ্গে চলার সে পাঠ দিতে চলেছে। পিছিয়ে পড়া শিলিগুড়ির পরিবর্তে মডেল শিলিগুড়ি গড়ার লক্ষ্য নিয়েই

 

বুধবার মতুয়াদের পর বৃহস্পতিবার গোর্খা জনজাতির মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃনমূলের সমর্থনে শিলিগুড়ির রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে শেষ প্রচারেও বাম ও বিজেপিকে কোণঠাসা করে মন্ত্রী বলেন মানুষ সিপিআইএমকে দেখেছে।অশোক ভট্টাচার্য কিছু করেননি। তিনি শিলিগুড়িকে আরো পচিশ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাতে নিয়ে বলেন এখানে বিজেপি বারবার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়েছে।

 

আর ও পড়ুন      ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এবারে থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ

 

তবে মানুষের দরকারে এই বিজেপি বিধায়ক সাংসদেরা পাশে থাকেন না। কোভিড পরিস্থিতিতে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, প্রতিনিধিরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে। নির্বাচনের প্রাগলগ্নে শিলিগুড়ির মাটি আকড়ে টানা তিনদিন শহরে চষে বেরিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ কলকাতার তৃনমূল নেতৃত্বরা। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মানুষের স্নায়ুচাপ বুঝে নিয়েছেন মন্ত্রী। দীর্ঘ সময় শিলিগুড়ির পর্যবেক্ষক থাকায় শিলিগুড়ি রাজনৈতিক হাওয়া খুব ভালো করে রপ্ত তার।

 

ঝালিয়ে নিয়েছেন শিলিগুড়ির দলীয় সাংগঠনিক অবস্থানও। তাই এদিন প্রচারের শেষ লগ্নে তার কন্ঠে উঠে আসে ভরপুর আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি বলেন মানুষ নিজে থেকেই এবারে মুখিয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করার জন্য। মানুষ এবারে বুঝতে পেরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়িকে ঘিরে উন্নয়ন করেছে। তাই মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবারের সব ভোট তারা তৃণমূলকেই দেবেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top