হাওড়া থেকে চলবে বুলেট ট্রেন, কয়েক ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন বারাণসীতে, পরিকল্পনা রেলের। হাওড়া স্টেশনের মুকুটে জুড়লো নতুন পালক। দেশে সাতটি বুলেট ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করলো ভারতীয় রেল। যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-বারানসি বুলেট ট্রেন উল্লেখ ।
এবার হাওড়া স্টেশন থেকেই জাপানের মতোই বুলেট ট্রেন ছুটবে অন্য রাজ্যে। তাই এবারে দ্রুতগামী ট্রেনের নিরিখে হাওড়া জাপানের টোকিও শহরের সঙ্গে তুলনায় আসতেই পারে । রেলমন্ত্রী তার বাজেট অধিবেশনে আগেই ভারতীয় রেলওয়ে চারটি নতুন বুলেট ট্রেন করিডোর যুক্ত করার কথা জানিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রধান নয়টি শহরকে উচ্চ-গতির রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগ করার পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের।
এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু। যা কিনা যুক্ত করবে দুই শহরের ৬১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ। পাশাপাশি নাগপুর ও বারাণসীর মধ্যে থাকবে ৮৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘপথ এবং পাটনা ও গুয়াহাটির মধ্যে থাকবে ৮৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ বুলেট ট্রেন লাইন। এছাড়াও অমৃতসর, পাঠানকোট এবং জম্মুকে নিয়ে ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরকেও যুক্ত করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর।
আর ও পড়ুন অভিষেক ব্যানার্জির থেকে বেশি দাপট উদয়ন গুহের, বললেন সুজন
এরমধ্যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী এবং হাওড়ার মধ্যে থাকবে ৭৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি করিডর। যদিও এই রুট পাটনা, গয়া-ধানবাদ হয়ে যাবে কিনা তার সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে নেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানান হয়েছে। তবে বুলেট ট্রেনের জন্য সম্পুর্ন আলাদা নতুন ট্র্যাক তৈরি করা হবে।
এছাড়াও বারাণসী-হাওড়া হাই স্পিড রেল করিডর হবে একটি সুপরিকল্পিত উচ্চ-গতির রেল লাইন যা বারাণসীকে হাওড়ার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই কাজ সম্পন্ন হলে এটি দিল্লি-কলকাতা হাই-স্পিড রেল করিডরের সঙ্গেও যুক্ত করে দেওয়া হবে। যদিও প্রকল্পটি পূর্ব ভারতের তিনটি বড় শহর- বারাণসী, পাটনা এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ রুটের দৈর্ঘ হবে ৭৬০ কিলোমিটার বলেই রেলের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এখনও মোট কয়টি স্টেশন থাকবে এবং প্রকল্পের ব্যয় কত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই প্রস্তাবিত করিডোরের সম্ভাব্য স্টেশনগুলি হবে বারাণসী, বক্সার, আরা, পাটনা, গয়া, ধানবাদ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান এবং হাওড়া।
তবে এই বুলেট ট্র্যাকে ট্রেনের গতিবেগ অনেক বেশি হবে। তাই দুর্ঘটনা এড়ানোর ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে রেলকেই। বিশেষত এই উচ্চ গতিসম্পন্ন ট্র্যাকের লেভেল ক্রসিংয়ের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য রেললাইনের মতো এর উপর দিয়ে কোনোভাবে মানুষ, গবাদি পশু পারাপার না করে সেদিকেও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান হয়েছে।রেলের তরফ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে উঁচু পাঁচিল দিয়ে এই লাইনকে ঘিরে রাখতে হবে।
এই মুহূর্তে ভারতের প্রথম উচ্চ-গতির রেল করিডর মুম্বই থেকে আমদাবাদের মধ্যে রয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব। আপাতত এই লাইনের নির্মাণকাজ চলছে যা কিনা আগামী ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছে।