মালদায় একসঙ্গে ১৪ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল । রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনের আগে মালদায় একসঙ্গে ১৪ জন বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস।এঁরা সকলেই পুরভোটে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আরও চারজন বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর থেকে মুচলেকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি বলেন, ‘দল বারবার বলেছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে। তারপরও এঁরা দলের নির্দেশ মানেননি। সেজন্যই তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ইংলিশবাজার পুরসভার চারজনের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে যে তাঁরা দলের হয়ে কাজ করবেন।’
রাজ্যে পুরভোটের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জায়গায় জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে। কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ আবার কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। পুর নির্বাচনে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার কারণে মিছিলও করেছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষুব্ধদের অনেকেই নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং মনোনয়নপত্র পেশ করেন। শেষপর্যন্ত এই বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে বহিষ্কার করা হবে।
আর ও পড়ুন সততার নজির গড়লেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার
কিন্তু দলের এই ঘোষণার পরেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কোথাও বিক্ষুব্ধ মান-অভিমান ছেড়ে ফের দলে ফিরে এসেছেন, আবার কোথাও আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছেন প্রার্থী। যেমন, বনগাঁ পুরসভায় নির্দল প্রার্থী তরুণ সরকার শেষপর্যন্ত দলের হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তেমনি নদীয়ায় কল্যাণী পুরসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবেই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন সোনামনি হাঁসদা। যদিও তাঁর প্রস্তাবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যা অস্বীকার করেছে শাসক দল। তরুণকে আবার মিষ্টিমুখও করানো হয়েছে।
শনিবার মালদায় এই বহিষ্কারের তালিকায় যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে ১০ জন ইংলিশবাজার পুরসভার এবং চারজন পুরনো মালদা পুরসভায় প্রার্থী হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। বহিষ্কৃত এই প্রার্থীদের দাবি, মানুষ চেয়েছেন বলেই তাঁরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ স্থানীয় কয়েকজন নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে।