রাজ্যে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কোন প্রয়োজন নেই, জানালেন ফিরহাদ । প্রথমে হাইকোর্ট পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এরাজ্যে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কোন প্রয়োজন নেই। বিগত দিনে দিনহাটা থেকে শুরু করে রাজ্যের যে যে অংশে ঘটে বিজেপি দাবি মেনে সেন্ট্রাল ফোর্স রেপ করা হয়েছিল সেখানেই বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে। বললেন ফিরহাদ হাকিম
তিনি বলেন, বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওরা হেরে যাওয়ার ভয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহানা দিচ্ছে। আসলে নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। বিজেপির এখন সেই অবস্থায়ই হয়েছে। এসব করে আসলে বিজেপি এরাজ্যে নির্বাচনকেই ভন্ডুল করতে চাইছে। বারবার কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স সহজে যে দাবি তারা জানিয়ে আসছে, তাতে প্রথমে হাইকোর্ট পরে সুপ্রিম কোর্ট ও অনুভব করেছে এটা আদপেই সঠিক দাবি নয়। সেটাই আজ আরও একবার শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়ে গেলো। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ফের বিজেপিকে তৎকালীন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসনমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কটাক্ষ করেন।
আসন্ন পুরভোট যাতে অবাধ সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় তার জন্য আপামর মানুষের কাছে আবেদন জানালেন ফিরহাদ হাকিম। তার মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা চায় যে কোন ভোট সুষ্ঠু অবাধ এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হোক। ছাপ্পা রিগিং থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ এর বিষয়কে কখনোই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না।
আর ও পড়ুন মাফিয়া রাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা সারাবছর সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে তারা নানান জনকল্যাণমুখী কাজ করে। ভোটে সেই কাজের কতটা সুফল সাধারণ মানুষ পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই তারা কতটা সমর্থন এ রাজ্যের শাসক দলকে দিচ্ছেন,, সেটাই নির্বাচনে পরখ করে দেখা যায়। জানালেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে উদ্বিগ্ন এ রাজ্যের বহু মানুষ। এ রাজ্যের তথা এ দেশের বহু ছাত্র-ছাত্রী ডাক্তারি পড়ার উদ্দেশ্যে এই মুহূর্তে ইউক্রেনে রয়েছেন। স্বভাবতই উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার পরিজন বাবা-মায়েরা। এই সময় প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় সরকারের যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, সেই উদ্যোগ তারা নিয়ে উঠতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই ধরনের পরিস্থিতি জেনেও উত্তরপ্রদেশে সহ বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের স্পেশাল প্লেন এর মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফেরানো টাই এখন প্রধানমন্ত্রীর ফার্স্ট প্রায়োরিটি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা করতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। একটা ফোন করেই কর্তব্য ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এ রাজ্যের সরকার মানুষের স্বার্থে পাশে আছে। যেকোনো প্রয়োজনে ইউক্রেনে থাকা নাগরিকদের ও তাদের পরিবারের পাশে আছে সরকার। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের ফেরানো নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ।