বহিরাগত দিয়েও ভোট লুট করতে পারলেন না সৌমেন্দু। দিনভর কেন্দ্রীয় বাহিনী দলবল নিয়ে বুথে বুথে দৌড়ে বেড়িয়েও কাঁথিতে ভোট লুট করতে পারলেন না সৌমেন্দু অধিকারী। ‘দাদা’র নির্দেশে বহিরাগতরা ঢুকলেও তাদের তাড়া করে এলাকা ছাড়া করল তৃণমূল। বেলা বাড়তে অবশ্য অন্য কৌশল নেয় ভাজপা। সৌমেন্দুর নেতৃত্বে মহিলা ক্যাডার দিয়ে ছাপ্পা দেওনোর চেষ্টা হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে কাঁথির একের পর এক ওয়ার্ডে ঘুরে শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী সন্ত্রাসের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ।
নিয়ে সৌম্যেন্দু এবং তাঁর দেহরক্ষীদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা বাধে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির। অখিলকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান অখিল পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। কিন্তু সেই সব কৌশল-ও বিশেষ কাজে আসেনি। মহিলা তৃণমূলকর্মীরা তাড়া করতেই এলাকা ছেড়ে পালায় ভাজপার বহিরাগত মহিলা ক্যাডাররা। বিক্ষিপ্ত এই ধরনের কিছু অশান্তি বাদ দিলে কাঁথি পুরসভায় ভোটগ্রহন প্রক্রিয়া মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ছিল।
আর ও পড়ুন রাশিয়ার বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক আয়ের পথ বন্ধ করল গুগল
যুব তৃণমূল নেতা তথা কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সুপ্রকাশ গিরির অভিযোগ, ‘‘পরাজয় নিশ্চিত বুঝে শুভেন্দু অধিকারী নয়া কৌশল নিয়েছেন৷ মহিলা ক্যাডারদের দিয়ে বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ ধরা পড়ে যেতেই এই মহিলা ছুটে পালিয়ে যায়৷’’ তৃণমূলের অভিযোগ, সৌমেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভাজপার দুষ্কৃতীদের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয়েছে।