বনধ কার্যকর করার জন্য বিজেপির বিধায়করা ব্যবহার করেছেন তাদের ব্যক্তিগত কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী। সারা রাজ্যের সাথে কোচবিহারে ও ব্যর্থ হলো বিজেপির ডাকা সর্বনাশা বন্ধ। কিন্তু এই বনধ কার্যকর করার জন্য কোচবিহার জেলার বিজেপির বিধায়ক রা ব্যবহার করেছেন তাদের ব্যক্তিগত কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী, এমনটাই গুরুতর অভিযোগ করছেন সাধারণ মানুষ। এদিন সকাল এবং সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে কে। তার দুই পাশে বন্দুকধারী কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী। অভিযোগ তারা যখন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা তে একটি বাস আটকায় সেই সময় সুরক্ষা বাহিনী বন্দুকধারী জওয়ানরা ছিল পাশেই।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বন দেখেছে রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষ মানবে কি মানবে সেটা তাদের ব্যাপার, বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখানোর মানে কী। এই ঘটনার পরেই বিজেপি বিধায়কের উপরে ঋতিমত সাধারণ মানুষের ক্ষোভ উগরে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তার সমস্ত দলবল নিয়ে চলে যান দলীয় কার্যালয় এ। এদিকে বন্ধে কোনো রকম প্রভাব পড়েনি কোচবিহার জেলায়। সরকারি বেসরকারি বাস যাতায়াত করেছে তাদের নিজেদের ছন্দে। বাজার সম্পূর্ণ খোলা ছিল। দুপুর দুটো পর্যন্ত সরকারি দপ্তর গুলিতে উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক।
আর ও পড়ুন বিজেপির ডাকা বনধে তেমন প্রভাব পড়লো না ঝাড়গ্রাম জেলায়
কুচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, সকাল থেকেই সমস্ত শহর পাতা জেলায় পুলিশি সুরক্ষা ছিল । প্রতিটি সরকারি বাস এবং বেসরকারি বাঁচতে পুলিশি সুরক্ষা প্রদান করে যাতায়াতের রাস্তা করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের পরিসেবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয়নি। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা এর চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এদিন 551 টিপস রাস্তায় নেমেছে যা প্রতিদিনের থেকে 27 টি অতিরিক্ত পরিষেবা। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে বাস পরিষেবা পরিচালনা করেছেন সকাল থেকেই।
কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ মন্তব্য করে বলেন, বিজেপির বিধায়ক রা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের যারা তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য রয়েছে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। অবিলম্বে এই বিষয়ে জনসমক্ষে হতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। এদিন রাস্তায় দেখা যায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দের। বন্ধ থাকা দোকানপাট নিজে হাতে খুলে বন্ধের বিরোধিতা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।