হাটের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি। হাটের জমি দখলে বাধা,প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীদর প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। সরকারি জমি দখল করে বেআইনি ভাবে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণের অভিযোগ জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। মালদার চাঁচলের সন্তোষপুর এলাকার ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের পিছনের সরকারি জমিতে কীভাবে দখল করে নির্মাণ চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এই জমি পঞ্চায়েত সমিতিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দাবি ১নম্বর ব্লকের বি এল আর ওর। জমি হস্তান্তরের বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। আর এই জমি দখল ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্তোষপুর গ্রামটি মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে। তার পিছনেই রয়েছে ৩২ শতক খাস জমি। সেখানেই স্থানীয় আটজন জমি মাফিয়া তা দখল করে দোকান ঘর তৈরির কাজ করছেন। সেই দোকান চড়া দামে বিক্রির জন্য আগাম মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।ওই এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক আলী বলেন,ওই সরকারি জায়গাই ছিল এক বিশালকার প্রাচীনতম বটবৃক্ষ।সেই বটবৃক্ষ বনদফতরকে না জানিয়ে কেটে সেখানে বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট কমপ্লেক্স,বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে গ্রামবাসীদের বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বি এল আর ও ও মহকুমা শাসকের দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
যদিও এই বিষয় নিয়ে চাঁচল-১ ব্লকের ভূমি সংস্কারক আধিকারিক অরিজিৎ দাস জানান,ওই খাসজমির নথিতে পাওয়া গেছে জায়গাটি পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্ববধানে রয়েছে দুই দশক ধরে।সন্তুোষপুর হাট বলে উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।এ বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতিকে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
এই বিষয়টয়ে ভূমি সংস্কার দপ্তরের দিকে আঙুল তুলেছেন চাঁচল-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লাহ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই জমি পঞ্চায়েত সমিতিতে হস্তান্তর করা হয়নি। হস্তান্তর করা হলে বি এল আর ও লিখিত ভাবে তাকে জানান।
আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল- বিজেপি চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ শাসক দলের মধ্যে সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি প্রশাসন তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে দলের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত নয়।