ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের ৯ দিন পরে বসিরহাটের অর্পণ বাবা মায়ের কোলে ফিরলো। খুশিতে ও আনন্দে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মন্ডল পরিবার।। চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ছেলে পাড়ি দিয়েছিল অন্য এক মহাদেশে। মেধাবী ছাত্র বসিরহাটের অর্পণ ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত ইউক্রেনের দিনাপ্রো-পেট্রোভ্যাক্সের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিল।
প্রবাসে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যের প্রবল যুদ্ধের বিভীষিকার সাক্ষী নিয়ে সে ফিরল দেশে। গতমাসের ২৬ তারিখে দেশে ফেরার টিকিট কাটা থাকলেও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেই টিকিট বাতিল হয়ে যায়। তারপর থেকে আগামী ৯ দিন ধরে রুশ সেনার ইউক্রেনের উপর ধ্বংস লীলার সাক্ষী ছিল সে।
ভারতীয় দূতাবাসের দেওয়া সমস্তরকম নির্দেশিকা মেনে তার বাসস্থান ছেড়ে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০০০ টাকা খরচ করে মিনিবাসে করে নিকটবর্তী রোমানিয়া সীমান্তে এসে ভারত সরকারের ” অপরেশন গঙ্গা”র মাধ্যমে বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আর ও পড়ুন ট্যাংরায় প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন
সেখান থেকে বিমানে কলকাতায় নামে। তারপর বসিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। বাবা-মা আনন্দে অশ্রুসজল নয়নে স্বাগত জানাল ঘরে। বন্ধুরা পিঠ চাপড়ে জানাল জীবনযুদ্ধ জয়ের অভিবাদন। মা নিজে হাতে খায়িয়ে দিল মিষ্টি। কিন্তু সবকিছুর পরেও তার মনে এখনও রয়েছে সেই যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেনের হাহাকারময় চিত্র, তার সাথে রয়েছে সেখানে আটকে পড়া সহপাঠীদের নিয়ে চিন্তা।
মা চন্দনা মন্ডল দুশ্চিন্তায় ছেলেকে পাঠাতে চাননাআর পরবাসে, কিন্তু ছেলের ওপরেই সমস্ত সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে চান বাবা রামপদ মন্ডল। কিন্তু ছেলে অর্পণ মন্ডল চায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফেরৎ যেতে ইউক্রেনে। ঘরে ফিরে অর্পণ ও তার পরিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি।