পরিমান টাকা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন অসুস্থ ছেলের পরিবার।তবে এই অল্প টাকায় কিডনির চিকিৎসা করা সম্ভব নয়,তাই টাকার পরিমান আরেকটু বাড়িয়ে দেবার জন্য প্রতিবেশীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছেন।
ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা গোপাল হরিজন। তার একমাত্র সন্তান সঞ্জু হরিজন। ছেলে ইসলামপুর পৌরসভার সাফাইকর্মি ক্যাজুয়ালে কাজ করত। ছেলের উপার্জন সংসার চলত। বয়সের কারনে গোপাল হরিজন কাজ করতে পারেন না।চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে এই হরিজন পরিবারের দিন যাপন।এরই মধ্যে সঞ্জু দূরারোগ্য কিডনি রোগে আক্রান্ত হন।সঞ্জুর বয়স মাত্র ৩৫।
সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার দুটো কিডনি বিকল হয়ে যাবার মুখে।চিকিৎসার খরচের জন্য বহু জায়গায় গেছেন কিন্তু কোথা থেকেও আর্থিক সাহায্য মেলে নি। অবস্থা বেগতিক দেখে সঞ্জু নিজের উদ্যোগেই দিল্লীতে চিকিৎসার জন্য চলে যায়। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দিল্লীতেই আছেন।সেখানেও অর্থ অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
আর ও পড়ুন ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা কি নিজের দেশে মেডিক্যাল কোর্স কমপ্লিট করতে পারবে?
গোপালবাবুর প্রতিবেশী দিপীকা সাহা সাদা কাগজেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সঞ্জুর এই অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহা্য্যের আবেদন করেন। প্রায় মেঘ না চাইতেই জল। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোথা থেকেও কোন যখন আর্থিক সাহায্য মেলে নি, তখন প্রধানমন্ত্রী এধরনের আবেদনে গুরুত্ব দেবেন এটা স্বপ্নেও ভাবেন নি। কিন্তু না,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন।
আজ গোপালবাবুর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে তিন লক্ষ টাকা অনুমোদনের চিঠি এসে পৌছায়।হরিজন পরিবারের কাছে এই তিন লক্ষ টাকাই বিপুল। কিডনির মত দূরারোগ্য চিকিৎসা এই তিন লক্ষ টাকা কিছুই নয়। প্রতিবেশী দীপিকা সাহা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক অনুদান আরেকটু বাড়িয়ে দেবার দাবি করেছেন।একই সঙ্গে সাধারন মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানান।যাতে সঞ্জু সুস্থ হয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসতে পারে।