প্রায় দুই যুগ হয়ে গেলেও ইছামতি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীনগর গ্রামে ইছামতি নদীর উপর ২০০৩, সালে ১০০,ফুট লম্বা ৭,ফুট চওড়া বাঁশের সাঁকো তৈরি হয়েছিল।
যার উপরে নির্ভরশীল কাটাবাগান, চারঘাট, টিপি, জোড়াবাগান, শ্রীনগর সহ কুড়ি থেকে পঁচিশ টা গ্রামের প্রায় ৪০ থেকে ৫০, হাজার মানুষ, এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। একদিকে যেমন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, অন্যদিকে ছোট যানবাহন টোটো,অটো বাইক এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে দিবারাত্র এপার-ওপার করছে। ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতি বন্যা বয়ে যায়।
কেউ কথা রাখে না। প্রায় দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ নিত্যযাত্রী থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের, আর বৃষ্টির জল পড়লে বাশ পচে গিয়ে দুর্বল হতে শুরু করে ,বাশের উপর স্লিপ তৈরি হয়, বিপাকে পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। সীমান্তবর্তী এই ব্লকটি বড়া বড়ি কৃষি প্রধান অঞ্চল হওয়ায়, কৃষকদের বিভিন্ন সবজি ফসল গঞ্জে নিয়ে যাওয়ার জন্য একমাত্র এই বাঁশের সাঁকো।
না হলে তাদের ৩০,কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে মসলন্দপুর,না হলে সরুপনগর তেতুলিয়া বাজারে। তাই দাবি উঠছে দ্রুত এই বাঁশের সাঁকো কংক্রিটের সেতুতে পরিণত হোক। একদিকে ব্যবসায়ী সাধারণ নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে এমনকি ছোট যানবাহন এর চালু করার দাবি তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনো সুরাহা হয়নি।
প্রশাসনিক দপ্তরের সামনে একাধিকবার বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি আবার কখন সাঁকো আটকে, বিভিন্ন সময় তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি করলেও কোন ফল হয়নি।তাই তারা দাবি যাচ্ছে দ্রুত এই বাঁশের সাঁকোটি কংক্রিটের সেতুতে পরিণত হলে আমাদের যাতায়াতের খুব সুবিধা হবে।
আর ও পড়ুন পাথর প্রতিমার “এক কেজি চালের পাঠশালা”
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাপ যোগ করেছেন, আবার কখনো নদীর সয়েল টেস্ট করেছে। সেই দেখে গ্রামবাসীদের মুখে হাসি ফুটল তা শুধু কথার কথা থেকেই গেছে। আজও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে। তাই একরাশ হতাশা ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ।