পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার জবাবে বড় ধরনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার। পশ্চিমের দেশগুলোকে সতর্ক করে রাশিয়া বুধবার বলেছে, নিষেধাজ্ঞার জবাবে বড় ধরনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেয়া নিয়ে কাজ করছেন তারা। এ নিষেধাজ্ঞা আসছে শিগগিরই, যা পশ্চিমের স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলোতে প্রভাব ফেলবে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার প্রায় পুরো অর্থনৈতিক ও করপোরেট সিস্টেমের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমের দেশগুলো। ১৯৯১ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এতো বেশি নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিভাগের পরিচালক দিমিত্রি বিরিচেভস্কি বার্তাসংস্থা রিয়া নভস্তিকে বলেন, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে দ্রুত, চিন্তাশীল ও স্পর্শকাতর। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়া সতর্ক করে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল নেয়া বন্ধ করে দেয়, তাহলে (জ্বালানি) তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৩০০ ডলারে পৌঁছতে পারে।
আর ও পড়ুন প্রায় দুই যুগ হয়ে গেলেও ইছামতি নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো
রাশিয়া জানায়, প্রতি বছর ইউরোপ ৫০ কোটি টন জ্বালানি তেল খরচ করে। এ তেলের ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৫ কোটি টন সরবরাহ করে রাশিয়া। সেইসঙ্গে রাশিয়া থেকে আসে ৮ কোটি টন পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থও। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। তারা প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র জানায়, রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।