জৈব পদ্ধতিতে চাষ আগামী দিনে চাষীদের আশার দিশা দেখাবে। নদীয়ার ফুলিয়া এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টারে কৃষি প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন গাছপালা লাগানো হয়। সেইমতো কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সুদূর পুরুলিয়া থেকে দুটি গাছ আনা হয়েছিল নদীয়ার ফুলিয়া এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টারে।
চাষিরা যাতে এই চাষ করে লাভবান হতে পারে তাই বিকসা ট্রি অর্থাৎ লিপস্টিক ট্রি লাগানো হয়েছিল কৃষকদের প্রশিক্ষণের জন্য। এই গাছ মূলত গরম দেশে হয়। এই গাছের ফলের যে দানা আছে সেই দানা লাল বর্ণের হয়ে থাকে। আর সেই ফলের নিঃসৃত রস মহিলারা সিঁদুর এবং লিপস্টিক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। শুধু তাই নয় খাবারেও এই ভেষজ রং ব্যবহার করে থাকে অনেকেই।
আর ও পড়ুন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জমি জবরদখল,তোলাবাজির অভিযোগ
এই ফল শরীরের পক্ষে কোনো মতে ক্ষতিকারক নয়। চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দুটো গাছ রোপন করা হয়েছিল নদীয়ার ফুলিয়া ট্রেনিং সেন্টারে। প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৫ থেকে সাড়ে ৫ ফুট হয়ে থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নদীয়ার ফুলিয়া এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে আসা চাষীরা অনেকেই এই গাছ নিয়ে গেছেন পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করবার জন্য।
অঙ্গসজ্জায় হোক অথবা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার পরিচিত নাম লিপস্টিক ট্রি আজ না হয় আগামী দিনে এর প্রভাব বিস্তার করবে এটাই আশা দপ্তরের আধিকারিকদের। কেননা যেহারে কৃত্রিম রং এর ব্যবহার বেড়েছে তাতে মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধন হচ্ছে আর তাই জৈব পদ্ধতিতে এই চাষ আগামী দিনে চাষীদের আশার দিশা দেখাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।