আবারো বড়োসড়ো সাফল্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার আস্থা অ্যাপের। উদ্ধার হলো এক বাংলাদেশী নাবালিকা মহিলা। মূলত পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুরপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে একটি ইনফর্মেশন আসে রামনগর থানার পুলিশের কাছে। এরপরই রামনগর থানার পুলিশ নুরপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই নাবালিকা বাংলাদেশ মহিলাটিকে উদ্ধার।
উদ্ধার এর পরই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারি মেয়েটি মহিষাদলের কোন এক এলাকায় আটকে রাখা হয়েছিল সেখান থেকেই পালিয়ে আসে মেয়েটি, এরপরে আস্তা অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং হোমে পাঠায়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে নাবালিকা ওই মেয়েটি বাংলাদেশের কুমিল্লার বাসিন্দা পাচার হয়ে গিয়েছিল।
এরপরই ডায়মন্ডহারবার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জীর নির্দেশে অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং এর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। এবং তারপরই উঠে আসে গোটা বিষয়টি। বাংলাদেশি ওই নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল স্থানীয় এক যুবকের, ওই যুবক তাকে তার বান্ধবীর বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে এরপরই এক অপরিচিত ব্যক্তির বাইকে তুলে দেয় তাকে।
আর ও পড়ুন সুন্দরবনে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার
কিছুদূর যাওয়ার পরই হাত ফেরি হোম এটি চলে যায় পাচারকারীদের হাতে এবং তারপরই তাকে বাংলাদেশ বর্ডার ক্রস করে এপার বাংলায় নিয়ে আসা হয়, এমনকি তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক যৌন নির্যাতনও করা হয়েছে। এরপর নাবালিকা ঐ মহিলাটি এসে পৌঁছায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহিষাদলে। সেখানে তাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় সে ভারতবর্ষে চলে এসেছে।
তাকে বোবা সেজে থাকতে হবে। বেশকিছুদিন সেখানে থাকার পরও মেয়েটি পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এরপরই রামনগর থানার কাছে অভিযোগ আসলে রামনগর থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তবে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবার জেলার পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন পাশাপাশি এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে 8 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আরও কারা দোষী রয়েছে তাদের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে আরো একবার মহিলা নিরাপত্তা মাপকাঠির প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়ালো ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার আস্থা অ্যাপ।