গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নজির

গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নজির

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
গঙ্গোত্রী

গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নজির।  গঙ্গা দূষণ ও হতাশা গ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রায় ৪০৪০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে নজির গড়লেন অতুল কুমার চৌসাকি। ৪০ বছরের অতুল একজন আন্তর্জাতিক ক্রিয়া প্রতিযোগী। অতুলের বাড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।

 

গঙ্গা দূষণ রোধে জন্য ৬ নভেম্বর ২০২১ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রায় ৪০৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অবশেষে অতুল পৌঁছায় গঙ্গাসাগরে। অতুলের ৪০৪০ কিলোমিটার যাত্রাপথের সময়সীমা নেহাত কম নয়।৫মাস ১৪ দিন একটানা পায়ে হেঁটে গঙ্গাসাগর যাত্রা করে। সঙ্গে ছিল ১৮০কেজি ওজনের একটি ব্যাগ।গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত পদযাত্রা যুবকের।

 

গঙ্গোত্রী থেকে পায়ে হেঁটে গঙ্গা সাগর পর্যন্ত যাত্রা শুরু সম্পূর্ণ করে। যাত্রাপথে উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ তাঁর। ইতিমধ্যে পাঁচ রাজ্য অতিক্রম করে ফেলে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের শেষ প্রান্ত সাগরদ্বীপে। তিনি একজন আন্তর্জাতিক আল্ট্রা ম্যারাথন খেলোয়াড়। একশো কিলোমিটারের উপরে দৌড়ানোকে এই আল্ট্রা ম্যারাথন বলা হয়।

 

সাহারা মরুভূমিতে দৌড়ে পদক জিতেছিলেন তিনি।এছাড়াও থার মরুভূমিতে ও দৌড়েছেন অতুল। এবার গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করতে, মানুষকে ডিপ্রেশন মুক্ত করতে তার এই পদযাত্রা। গঙ্গা নদী দূষণ মুক্ত হোক এবং মানুষ ডিপ্রেশন মুক্ত হোক এই বার্তা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। ভারতের আত্মা এই গঙ্গা নদী। গঙ্গা নদীর পাশ দিয়ে চলতে চলতে তিনি মানুষজনকে বার্তা দিয়ে চলেছেন গঙ্গা নদীকে দূষণ মুক্ত করার। আজকের প্রজন্মের বহু মানুষ বিভিন্ন ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আর্থিক কারণে চিন্তিত।

 

আর ও পড়ুন   পার্কিং চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বনগাঁ রামনগর রোডে অবরোধ

 

ফলে অনেকেই নেশা করছেন। হতাশা হয়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন কেউ কেউ। তাই মানুষকে বার্তা দিচ্ছেন তিনি, গঙ্গা কে প্রনাম করে তার থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া দরকার, কারণ এতো সমস্যা দূষণ বহন করে বয়ে চলেছে এই নদী। ইতি মধ্যেই অতুলের সোলার প্যানেল যুক্ত গাড়ির আটটি চাকা বদল করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর পৌঁছতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, এই নদী বেষ্টিত তীর্থ শ্রেষ্ঠ গঙ্গাসাগরকে যেন টিকিয়ে রাখা হয়।পরিবারের রোজগেরে যুবক অতুল আগামী দিনে ডিপ্রেশন থেকে মানুষকে মুক্ত করার জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করতে চান। রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে সাগরদ্বীপের সকল বাসিন্দা অতুলের এই প্রয়াসকে কুর্ণিশ জানিয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top