কেন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার পর ঘটে উদ্দাম সেক্স। টানা কিছুদিন বৃষ্টির পর যেমন চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায়, আরো একবার ঝলমলে হয়ে যায় নতুন আকাশ, তেমনই দীর্ঘদিনের অশান্তির পর নতুন ভাবে জন্ম নেয় ভালোবাসা এবং শারীরিক সম্পর্ক। যতই ঝগড়া হোক না কেন পরিণতি হিসেবে যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তা যেন আগের থেকেও আরো ভাল রূপ নিয়ে নেয়। এটি ঘটার পেছনে রয়েছে বেশকিছু কারণ।
দুঃখ প্রকাশ অথবা ক্ষমা চাওয়া: ঝগড়ার পরে একে অপরের কাছে দুঃখ প্রকাশ করার ঘটনা খুবই সাধারণ কিন্তু এই দুঃখ প্রকাশ হতবাক ক্ষমা চাওয়া অনেকেই মুখে প্রকাশ করতে পারেনা। তাই সেখানে আমাদের শরীরের ভাষার অবলম্বন নিতে হয়। প্রতিদিন ঝগড়া সূত্রে চলে আসে ছোটবেলার নানা খারাপ স্মৃতি। সেগুলিকে কাটিয়ে উঠতে আমাদের শারীরিক সম্পর্কের দ্বারস্থ হতে হয়।
ভয় কাটানো: যেকোনো ঝগড়ায় মনের মধ্যে অজানা একটি ভয়ের জন্ম দিতে পারে। শারীরিক সম্পর্ক সেই ভয়ে অনেকটা কাটিয়ে দেয়। ভয়ের বদলেই সেখানে জন্ম নেয় উত্তেজনা এবং আনন্দ। ঝগড়ার পর শারীরিক সম্পর্কে আরো বেশি উত্তেজনা কাজ করে বলেই মনে করা হয়।
আর ও পড়ুন সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ
হরমোন এর অবদান; আমেরিকান মনোবিদ অ্যান্ড্রু জানিয়েছেন যে, ঝগড়ার সময় আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন, অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসলের মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এগুলি আমাদের মানসিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যৌন সম্পর্কের সময় বারে সেরোটোনিন, ডোপামিনের মত মন ভালো রাখার মতো হরমোনের ক্ষরণ। আগের হরমোন গুলি পরের হরমোন গুলির দিকে শরীরকে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই প্রত্যেকটি ঝগড়ার পেছনে থাকে শারীরিক মিলনের ইচ্ছা।
শক্তি বেড়ে যাওয়া: ঝগড়ার সময় হরমোনের নিঃসরণ এর কারণে শরীরের শক্তি কিছুটা বেড়ে যায়। এই শক্তি আমাদের শারীরিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে দিতে সাহায্য করে। দুজনের এনার্জীর মাত্রা যদি ঝগড়ায় সময় বেড়ে যায় তাহলে, সুস্থ যৌন সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে পারে বিষয়টিকে।