হায়দারাবাদে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১১ জনের মৃত্যু । ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলো। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে একটি স্ক্র্যাপ গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ আগুনে ১২ জন আটকা পড়েছিল।
তাদের মধ্যে ১১ জনকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদের ভৈগুদা এলাকায় এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মৃতদের অধিকাংশই বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক। বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা অগ্নিকান্ডের সময় ওই বিল্ডিংয়ে ছিলেন। আচমকাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা। তাদের ঝলসানো দেহ পাওয়া যায় বিল্ডিংয়ের প্রথম তলা থেকে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ১১ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে আগুন লাগল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ দমকল আসে এবং প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। আগুন নেভানোর পর ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভবনের প্রথম তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন ১১ জন শ্রমিক। যে বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে, সেখানে কেবলমাত্র একটি অভ্যন্তরীণ সিঁড়ি ছিল। ফলে তারা আগুনের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
মনে করা হচ্ছে, ভেতরে আটকে পড়া ব্যক্তিরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় গোডাউনের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারা বের হতে পারেননি। বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পরে গোডাউনের একটি দেয়াল ধসে পড়ে, তার ফলে ভিতরে থাকা লোকদের গোডাউন থেকে বের হতে বাধা দেয়।পুলিশ ও দমকল তদন্তে নেমে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ওই বিল্ডিংয়ে অগ্নিনার্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না। যদি তা থেকে থাকে, আগুন লাগার পর কেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কাজ করল না।
আর ও পড়ুন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ দুই মাধ্যমিকের ছাত্রী
বিল্ডিংয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শ্রমিকরা জানতে পারার আগেই তাঁরা আগুনোর ঘেরাটোপে পড়ে যান। ফলে কেউই বেরিয়ে আসতে পারেনি। ১২ জন ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ১১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি ১ জনের খোঁজ চলছে। তিনি বেরিয়ে এসেছেন কি না, তার খোঁজ এখনও মেলেনি। পুলিশ এই ঘটনায় মামলা রুজু করেছে। কারখানা বা গোডাউনের মালিকের খোঁজ চলছে। আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে কারখানা। মজুত সমস্ত মালই পুড়ে খাঁক হয়ে গিয়েছে।