চলতি বছরের শেষ দিকে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০-এর সম্মেলন। ওই সম্মেলনে কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যোগ দেবেন? ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, পুতিন ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আগ্রহী। বুধবার কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক আগ্রাসনের জেরে বিশ্বের অনেক দেশ জি২০ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণ না জানানোর দাবি জানিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমের দেশগুলোর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে পুতিনের রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি করা থেকে বিরত রয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ রাষ্ট্রদূত লুদমিলা ভরোবিভা বলেন, ‘কেবল জি২০-ই নয়, অনেক সংস্থাই রাশিয়াকে বয়কটের চেষ্টা করছে।’ এ সময় তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেয়া পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা জি২০-তে (গ্রুপ অব টুয়েন্টি) রাশিয়াকে রাখা হবে কিনা, তা বিবেচনা করে দেখছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর অন্য একটি শক্তিশালী জোটের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জি২০ এর একটি অংশ হয়ে রাশিয়া থাকবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়া সদস্য থাকে, তাহলে এটি একটি দুর্বল সংস্থায় পরিণত হবে।’
আর ও পড়ুন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিকের বুকে চাকু চালাল স্বামী
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ। সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে। রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।