নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি কেটে বিহারে পাচার করতে গিয়ে ধৃত

নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি কেটে বিহারে পাচার করতে গিয়ে ধৃত

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বালি

নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি কেটে বিহারে পাচার করতে গিয়ে ধৃত। নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি কেটে বিহারে পাচার করতে গিয়ে চারটি ট্রাক্টর সহ পুলিশের হাতে ধৃত ৪ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলত নগর গ্রাম-পঞ্চায়েত এলাকার ভালুকা গোবরা ঘাটে।

 

জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই বালি পাচারের কাজ। এই রাজ্য থেকে বালি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হতো পার্শ্ববর্তী বিহারে। যথেষ্ট ভাবে বালি কাটার ফলে বর্ষাকালে সহজেই নদীর জল ঢুকে যেত নদী তীরবর্তী অঞ্চল গুলিতে। এলাকাবাসী এবং বিরোধিদের অভিযোগ এর পেছনে হাত রয়েছে শাসকদলের নেতাদের। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্তের দাবি পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে বলেই গ্রেপ্তার করেছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

 

অভিযোগ সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই ফুলহার এবং মহানন্দা নদীর তীর থেকে বালি কেটে বেআইনি ভাবে পাচার করা হতো। বুধবার সকালে সে রকম ভাবেই বালি নিয়ে যাওয়ার পথে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আটক করে বালিভর্তি চারটি ট্রাক্টর কে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চার যুবক। ধৃত চার যুবকের নাম, মোহাম্মদ কুসবান(৩০), শেখ জুলফিকার(২০),আলাউদ্দিন(৩১) এবং আতিউর রহমান( ২০)।

 

ধৃতদের বৃহস্পতিবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা তে রয়েছে বিহার সীমান্ত। ফলে বিহার লাগোয়া এই এলাকা থেকে বিভিন্ন জিনিস সহজেই পাচার করে দেওয়া হয় বিহারে। এমনকি এর আগেও অবৈধ ভাবে মাটি কেটে সেই মাটি বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এ ক্ষেত্রে বালি বিহার ছাড়া আর কোথায় কোথায় পাচার করা হতো বা সমগ্র চক্রটি তে কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার মন্ডল বলেন ,আজ সকালে গোবর ঘাটে মাটি কেটে ট্রাক্টর এ নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে। আজ নয় দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চলছিল। যদিও এর আগে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভবিষ্যতে এই কাজ বন্ধ না হলে এলাকাবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

 

আর ও পড়ুন      জোরপূর্বক জায়গা দখল, বাধা দেওয়ায় পরিবারের চার জনকে মারধর

 

বিজেপি নেতা তথা উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। দলটা সম্পূর্ণ কাটমানি, চুরি এবং তোলাবাজির উপর চলে। পুলিশ যে গ্রেপ্তার করেছে হয় তো ইতিমধ্যে পুলিশের ওপর চাপ এসে গেছে। আগে এর সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না দেখা যাক।

 

প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ রায় চৌধুরী বলেন, অপপ্রচার করা বিজেপির কাজ। দল এই ধরনের জিনিসকে বরদাশ্ত করে না। প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে বলেই ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top