আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধে তালেবান সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের খুলে দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বন্ধ করার ঘটনায় এ নিন্দা জানায় মার্কিনীরা। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নিড প্রাইস বলেন, ‘গ্রেড সিক্সের উপরের মেয়ে ও নারীদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ার তালেবান সিদ্ধান্তের ব্যাপারে লাখো আফগান পরিবারের গভীর উৎকণ্ঠা, চরম অসন্তোষের প্রতি আমরা সমর্থন জানাই। তালেবানের এমন পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।’
বুধবার আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত বার্তাসংস্থা বখতার জানায়, আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামিক আইনের আদলে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের স্কুল বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা মেয়েদের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং যেসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠের ওপরের শ্রেণিগুলোতে মেয়েরা লেখাপড়া করে, সেগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলছি।’ এ নিয়ে তালেবান মুখপাত্র ইনামউল্লাহ সমনগানির কাছে জানতে চায় বার্তাসংস্থা এএফপি।
আরও পড়ুন – ৯ বছর কাজ না থাকায় যাত্রা করতে বাধ্য হয়ে হয়েছিল অভিষেকক
তিনি ‘হ্যা’ সূচক জবাব দিয়েছেন। স্কুল বন্ধ রাখার কারণ নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি। তবে আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজিজ আহমাদ রাইয়ান বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করতে আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।’ এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন লন্ডনভিত্তিক সাংবাদিক ও আফগান রাজনীতিক শুকরিয়া বারাকজাই।
তিনি বলেন, ‘এটা খুব হতাশাজনক যে, মেয়েরা স্কুলে ফেরার দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল। এটা প্রমাণিত হলো যে, তালেবানদের ওপর আস্থা রাখা যায় না; তারা তাদের অঙ্গীকার পুরণ করে না।’ গত বছরের ১৫ আগস্ট কাবুলে ক্ষমতাসীন হয় তালেবানরা। এর পরই নারী শিক্ষায় আঘাত আসতে পারে- পশ্চিমের দেশগুলো এমন শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধে তালেবান সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের খুলে দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বন্ধ করার ঘটনায় এ নিন্দা জানায় মার্কিনীরা। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নিড প্রাইস বলেন, ‘গ্রেড সিক্সের উপরের মেয়ে ও নারীদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি না দেয়ার তালেবান সিদ্ধান্তের ব্যাপারে লাখো আফগান পরিবারের গভীর উৎকণ্ঠা, চরম অসন্তোষের প্রতি আমরা সমর্থন জানাই। তালেবানের এমন পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।’