দমকল সহ ইঞ্জিনের দপ্তরের দাবিতে সরব বলরামপুরবাসী। পুরুলিয়ার বলরামপুরে বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আর কাছাকাছি ওই এলাকায় কোনো দমকল ইঞ্জিনের দপ্তর না থাকায় দমকল ইঞ্জিন আসছে দেরিতে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। এই মর্মে এবার দমকল সহ ইঞ্জিনের দপ্তরের দাবিতে সরব হল বলরামপুরবাসী।
তাঁদের দাবি রঘুনাথপুর, মানবাজার, পুরুলিয়ার মতোই ঝাড়খন্ড লাগোয়া এই এলাকার মানুষের সার্বিক সুবিধার্থে বলরামপুরেও একটি দমকলের ইঞ্জিন এলাকার আপৎকালীন অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা দরকার। তাই তারা যত দ্রুত সম্ভব দমকল এর ব্যবস্থা চাইছে।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর এলাকার উপর পুরুলিয়া টাটা ৩২ নং জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি বছরের বিভিন্ন সময়ে। ওই রাস্তাতে হয়েছে একাধিক দুর্ঘটনা। অন্যদিকে এক বছরের মধ্যে আগুনের গ্রাসে ভস্মীভূত হয়েছে বেশকিছু দোকান, বাড়ি ঘর সহ পোল্ট্রি ফার্ম ও আরো অনেক খড়ের গাদা। প্রত্যন্ত এই জঙ্গলমহল এলাকায় প্রায় প্রত্যেক বছরই জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় বিভিন্ন ঔষধি গাছ, কীটপতঙ্গ সহ লুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী।
প্রায় সব ক্ষেত্রেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে স্থানীয়রাই হাত লাগান। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা প্রত্যেকটি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালেও পুরুলিয়া থেকে বলরামপুর শহরের এর দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। শহর থেকে দূরে থাকা প্রত্যন্ত গ্রাম গুলির দূরত্ব আরো বেশি। কিন্তু ৩২ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলায় প্রায় অনেকটাই রাস্তা বেহাল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দমকলের ইঞ্জিন সহ কর্মীরা বলরামপুর পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আপৎকালীন সেই অবস্থায় দমকলের ইঞ্জিন এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা গুলিতে সব পুড়ে ছারখার হয়ে যায় বলে জানাচ্ছেন বলরামপুর এলাকার বাসিন্দারা।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই মন্ডল জানান, দমকলের সমস্যা নিয়ে যে দাবি রয়েছে এলাকাবাসীদের মনে সে বিষয়টি পুরুলিয়া জেলা শাসকের কাছে ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন রাখবেন তিনি। বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, আড়শা, বরাবাজার এর মত জায়গাগুলি যাতে দমকল বিভাগের সমস্ত পরিষেবা শীঘ্রই পাওয়া যাই সেই বিষয়ে নজর দেবে ব্লক প্রশাসন।