স্বামীকে গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর চুল কাটল খুড়তুতো ভাসুর। ঘটনার পর ভাসুরের বিরুদ্ধে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয় । অভিযুক্ত সিভিক ভলিন্টিয়ার হওয়ায় পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতা।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার গৌরবাজার গ্রামে। তারাপীঠ থানার পরুন গ্রামের মেসেনুর বিবির বছর আটেক আগে বিয়ে হয় গৌরবাজারের মায়ারুল শেখের সঙ্গে। তাদের দুটো ছেলে রয়েছে। মেসেনুর পেশায় ট্রাক্টর চালক। খুড়তুতো ভাই পেশায় সিভিক ভলন্টিয়ার।স্বামী ঠিকমতো টাকা দিত না। প্রায়ই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে অশান্তি করত। এদিকে ট্রাক্টর ভাড়া বাবদ টাকা না দেওয়ায় খুড়তুতো ভাই ওহিদুল বাড়িতে গালিগালাজ করে যেত। তারই প্রতিবাদ করেছিল গৃহবধূ। প্রতিবাদ করায় তার চুল কেটে শাস্তি দেওয়া হয়। মেসেনুর বিবি বলেন, “খুড়তুতো ভাসুর পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করত। কথায় কথায় বলত সে সিভিক পুলিশ। ফলে কেউ কিছু করতে পারবে না। এমনকি বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে গেলেও শ্বশুর, শাশুড়ি কিংবা স্বামী ভয়ে মুখ খুলত না। কিছু দিন আগে স্বামী নিজে ট্রাক্টর কিনে চালাতে শুরু করে। তাতে ভাসুরের রাগ বেড়ে যায়। শুক্রবার বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করছিলো ওহিদুল। সে প্রতিবাদ করায় তার মাথা ধরে দেওয়ালে ঠুকে দেয়। এরপর বিড়ির সুতো কাটা কাঁচি দিয়ে তার ছুল কেতে দেয় বলে অভিযোগ । গৃহবধূ জানান, কাটা চুল নিয়েই মল্লারপুর থানায় যান তিনি। লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। কিন্তু অভিযুক্ত ওই থানার সিভিক ভলন্টিয়ার হওয়ায় পুলিশ তাকে ধরছে না। তাই সোমবার ডাক যোগে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ পাঠালেন নির্যাতিতা।