কাশ্মীরী হিন্দু পন্ডিতদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনাকে “গণহত্যা” বলে স্বীকৃতি দিক ভারত- দাবী ICHRRF। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ভিত্তিক সংগঠন ICHRRF এসে দাঁড়াল কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিত সম্প্রদায়ের পাশে। তাদের মতে,১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছিল।তাই এবার ভারত সরকার ও জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের দ্বারা সংগঠিত সেই ঘটনাকে “গণহত্যা” বলে স্বীকৃতি দিক।
ICHRRFএর তরফে বলা হয়েছে, “গোটা বিশ্বের এই গল্পগুলি শোনা উচিত। তবে অতীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নীরবতা এবং রাজনৈতিক সুবিধার বাইরে নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তারপর তা যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে ২০২২এর ২৭ শে মার্চ একটি বিশেষ শুনানির আয়োজন করেছিল ICHRRF।
আর সেখানেই সেই সময়কার ঘটনার শিকার হওয়া বহু মানুষ যারা সাক্ষী ও তথ্য প্রমাণ জমা দিয়েছিলেন তাদের কথা শুনে ও সেগুলি দেখে রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে যান ICHRRF-এর সদস্যরা।
আর তারপরেই তাদের এই দাবী।তারা চান,ওই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সমস্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করে যেন তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়।এই বিষয়ে আহ্বান ও জানিয়েছেন আমেরিকা ভিত্তিক এই সংস্থা।এছাড়াও এই কমিশন অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারগুলিকেও এই বিষয়টি নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন ও জম্মু ও কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া নৃশংস অত্যাচারকে “গণহত্যা” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী তুলেছেন।
আর ও পড়ুন চলন্ত বাসে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রের এক তরুণী কর্মীর শ্লীলতাহানি
প্রসঙ্গত,সে সময় বহু কাশ্মীরি হিন্দু পরিবারকে গণহত্যার শিকার হতে হয়েছিল।হাজার হাজার বাড়িঘর ও মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল। ৪ লক্ষের বেশি কাশ্মীরি হিন্দু পুরুষ, মহিলা এবং শিশুকে বন্দুকের মুখে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিজ ভিটে মাটি ছেড়ে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এমনকি গণধর্ষণ করা হয়েছিল মহিলাদের। কেটে দু’টুকরো করে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছিল সেসময়।এছাড়াও,ভবিষ্যতে নৃশংসতা ঠেকাতে কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যা ও জাতিগত গণহত্যার তদন্তের জন্য একটি কমিশন নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়াও, সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “এই ভুক্তভোগীরা এখন ওই ঘটনার জন্য ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা সম্মানের সঙ্গে স্বীকৃতি, ন্যায়বিচার এবং পুনর্বাসনের জন্য আবেদন করেছেন। আর স্বীকৃতি হল ওই নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে নিরাময়ের প্রথম পদক্ষেপ। যা পরিবারগুলিকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, চিকিত্সা এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রভাবিত করেছে। এই গণহত্যাকে কখনই আবার ঘটতে দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। তাই সরকারের কাছে আবেদন বিষয়টিকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।”