মাটিয়া ধর্ষণ কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে বললো পুলিশকে । মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড পুলিশের তদন্ত আস্থা, কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডাইরি ও মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে বললো পুলিশকে ।
মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডে প্রথম শুনানিতে পুলিশি তদন্তের ওপর আস্থা রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানান নির্যাতিতা আত্মীয়রা।।
মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল গত ২৯, শে মার্চ মঙ্গলবার। আজ বিচারক মামলার শুনানি পর আদালতে নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি জমা দিতে বলেন। পাশাপাশি নির্যাতিতা কিশোরীকে সরকারি খরচে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার কে । ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে আতস কাঁচ দিয়ে রক্তের নমুনা, মাটির নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেনসিক সদস্যরা । ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি ও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ধর্ষণ কাণ্ডে কলকাতা থেকে ফরেনসিক আধিকারিক অভিজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল প্রথমে মাটিয়া আসেন। সেখানে বিবেক নগর কলুতলা গ্রামের ঘটনাস্থলে যান ।সেখানে গিয়ে প্রায় একঘন্টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন, প্রথমে পুরো এলাকা টাকে চিহ্নিত করণের পাশাপাশি একটি ভিডিওগ্রাফি করেন নিজেরা। তারপর সেখানে একদিকে আতস কাঁচ দিয়ে রক্তের নমুনা ও মাটি খুঁজে বের করেন এবং সেগুলো সংগ্রহ করেন।
আর ও পড়ুন দেশজুড়ে ব্যাংক প্রতারণা মূল পান্ডা গ্রেপ্তার
পাশাপাশি নির্যাতিতা গ্রাম নেহালপুর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন, এদিন এই ঘটনার মূল পান্ডা মাসী রোজিনা বিবি যে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বোন কাঁদতে কাঁদতে বলেন যে অন্যায় করেছে ধরা পড়েছে, একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছোট শিশুর নির্যাতনের ঘটনার পরিকল্পনা করলো। দিদির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বোনের দেওয়া বক্তব্য। নিয়ে ইতিমধ্যে এই ধর্ষণকাণ্ড রাজ্য দেশ তোলপাড় হয়েছে।
সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি তারা এই নির্যাতিতার ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিক্ষোভ অবস্থান স্মারকলিপি প্রদান প্রভৃতি একাধিক ভাবে দরবার করেছেন প্রশাসনিক মহলে। ঘটনার পরেই মাটিয়া কাণ্ডে নির্যাতিতার মাসী ও তার প্রেমিক কে গ্রেপ্তার করেছে মাটিয়া থানার পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালত ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে।
বর্তমানে দুজনেই আদালতের বিচারাধীন। আগামীকাল শুক্রবার পয়লা এপ্রিল পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফের আবার পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে বসিরহাট জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যেই আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
তারা জানিয়েছেন যারা দোষী তারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা যাতে কঠিন শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। প্রথম দিন থেকে বসিরহাট জেলা পুলিশ কিশোরী ধর্ষণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল পান্ডা সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । তারপর তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের রায় কে সাধুবাদ জানিয়েছেন মাটিয়া থানার নেহালপুর এর নির্যাতিতার প্রতিবেশীরাও ।