গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজের সূচনা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ সরব রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। বারবার কেন্দ্র সরকার কে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তার। কেন্দ্র সরকার টাকা বরাদ্দ করবে আর এখানে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা লুটপাট করবে সেটা হতে পারে না। ভাঙ্গনরোধে কাজ করতে রাজ্য সরকার না পারলে তা পুরোপুরি কেন্দ্র সরকার কে হস্তান্তর করুক বিজেপির।
মালদায় নদী ভাঙ্গন প্রতি বছরের ঘটনা। ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু পরিবার। গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধের কাজ মাঝে মাঝে করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ উঠেছে বারংবার। এমনকি বর্ষাকালে ভাঙ্গন রোধর কাজ করা হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
এবারে বর্ষার আগেই ভাঙ্গনরোধে কাজের করা হল মালদা কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের পারলালপুর এলাকায়। 10 কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী বাঁধ তৈরীর কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কাজের সূচনা করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ভাঙ্গন এবং বন্যা মালদার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য।
আর ও পড়ুন তিন দিনে পড়ল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে কাজ হারানো কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভ
প্রতিবছর কোন না কোন কিছুর সাথে আমাদের লড়াই করতে হয়। নদী ভাঙ্গন জাতীয় সমস্যা। কিন্তু কেন্দ্র সরকার হাত তুলে নিয়েছেন। বার বার বলেও বহু আন্দোলন করে কোন লাভ হচ্ছে না। তবে রাজ্য সরকার নিজের সাধ্যমত ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাবে। বর্ষার আগেই ভাঙ্গন রোধের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি দাবি করেন।
সাবিনা ইয়াসমিনের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, কেন্দ্র সরকার টাকা বরাদ্দ করবে আর এখানে তৃণমূলের নেতার লুটপাট করবেন তা হতে পারে না। রাজ্য সরকার ভাঙ্গন রোধের কাজ করতে না পারলে তা পুরোপুরি কেন্দ্র সরকারকে হস্তান্তর করুক। কেন্দ্র সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। মালদার জেলা শাসকের রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, 10 কোটি টাকার কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। অতি দ্রুত হারে সাত কোটি টাকার অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারকে আবেদন জানানো হবে। ওই এলাকায় একটি বাঁধ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার বলে দাবি করেন জেলাশাসক।