রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনের পথে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশন! রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির দাবী নিয়ে এবার দেশ জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশন।সূত্রের খবর, শুক্রবার দিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মমতা শংকর, অর্থনৈতিক বিষয়ক যুগ্ম অধিকর্তা ডক্টর মনিকা সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও,তিনি আন্ডার সেক্রেটারি অভয় শ্রীবাস্তবের সঙ্গেও দেখা করেন। এরপরই বঙ্গভবনে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “আমাদের জানানো হয়েছে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কত পরিমাণে বৃদ্ধি করা হবে সেটা জানানো হয়নি। তবে আমরা মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব বলে জানিয়েছি।” এরপর তিনি জানান, ” যদি মে মাসের মধ্যে রেশন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি না করা হয়, তা হলে দেশব্যাপী আন্দোলন করবে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশন।”
এছাড়া, বিশ্বম্ভর বসুর এও দাবী করেছেন যে , “কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে দেরিতে কমিশন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও নতুন আর্থিক বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত কমিশন কার্যকর হবে।”রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্পের প্রচুর প্রশংসা করে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু দিল্লির সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,” পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বাইরে থাকা মানুষকে রেশন দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের সুবিধা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা মাটি মানুষের সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে।”এছাড়াও, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের গুদামে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। তবুও সবার জন্য খাদ্য এই নীতি গ্রহণ করছে না সরকার।দেশের সমস্ত মানুষের খাদ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।”এছাড়াও, এই সাংবাদিক সম্মেলনে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করতে চেয়েছিল কিন্তু দিল্লির ফেয়ার প্রাইস শপ অ্যাসোসিয়েশন তা করতে দেয়নি।”