নির্মীয়মান সংশোধনাগারের কাজ পরিদর্শনে চাচলের বিধায়ক । মহকুমা আদালতের পেছনে বন্দীদের থাকার জন্য গড়ে উঠছে সংশোধনাগার। সেই নির্মীয়মান সংশোধনাগারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মহাকুমা সংশোধনাগারের কাজের তদারকি করতে সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন মালদার চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরেই চালু হতে পারে চাঁচল মহকুমা সংশোধনাগার।
উল্লেখ্য,চাঁচল মহকুমা আদালত গঠনের পর থেকেই এই এলাকায় একটি সংশোধনাগার তৈরির দাবি উঠতে শুরু করে৷ বর্তমানে জেলার একমাত্র সংশোধনাগার রয়েছে মালদা শহরে৷ ফলে সেখান থেকে চাঁচল মহকুমা আদালতে অভিযুক্তদের আনতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কারা বিভাগ ও পুলিশকর্মীদের৷ প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরত্ব পেরোতে অনেকটা সময় লাগে, তেমন কোনও কারণে প্রিজন ভ্যান খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷ এছাড়াও রয়েছে রাস্তার পরিস্থিতি কিংবা পথ অবরোধের মতো বিষয়৷
তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠছে মালদার চাঁচল মহকুমা সংশোধনাগার। বন্দীদের থাকার জন্য ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে সবকটি ঘর বলে মহকুমা পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মহকুমা সংশোধনাগারের কাজের তদারকি করেন চাঁচলের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ।মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চাঁচল মহকুমা আদালতের পেছনে ৫ একর সরকারি জমির উপর গড়ে উঠছে সংশোধনাগারটি।
আর ও পড়ুন হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে আরো এক গ্রেপ্তার
এই সংশোধনাগার তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। ৩০০ জন বন্দীদের থাকার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে এই মহাকুমা সংশোধনাগারে।কদলার মাঠে সংশোধনাগারটি গড়ে উঠছে।সংশোধনাগারের ৭০ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ।সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে সংশোধনাগার চালু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানান, দ্রুতগতিতে চলছে চাঁচল মহকুমা সংশোধনাগার নির্মাণের কাজ। আশা করি খুব শীঘ্রই চালু হবে চাঁচল মহকুমা সংশোধনাগার।চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। বিধায়ক বলেন,অনেকদিন আগে সংশোধনাগার নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। এখন জোরকদমে চলছে নির্মাণ কাজ। আশা করা যায় সামনের বছরেই উদ্বোধন হতে পারে চাঁচোল মহাকুমা সংশোধনাগার।
চাঁচলে দ্রুত সংশোধনাগার চালু হবার দাবী জানিয়েছেন আইনজীবীরা। চাঁচোল মহাকুমা আদালতের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে জেলার একমাত্র সংশোধনাগার রয়েছে মালদা শহরে৷ ফলে সেখান থেকে চাঁচল মহকুমা আদালতে অভিযুক্তদের আনতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কারা বিভাগ ও পুলিশকর্মীদের৷ প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরত্ব পেরোতে অনেকটা সময় লাগে, তেমন কোনও কারণে প্রিজন ভ্যান খারাপ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে৷ তাই চাঁচলে সংশোধনাগার চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে এবং সময় বাঁচবে।