অবৈধ কলসেন্টারকে মদত দেওয়ার অভিযোগ থানার আইসির বিরুদ্ধে। আইনজীবী ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি ভক্তিনগর থানার আইসি অমরেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার।শিলিগুড়ি মেট্রোলপলিটন পুলিশের এসিপি শুভেন্দু অধিকারির নেতৃত্বে চলছে তদন্ত।
অভিযোগ বেআইনি কল সেন্টার মালিকের বিরুদ্ধে আইনজীবী ছাত্রের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন ভক্তিনগর থানার আইসি। অভিযোগকারী আইনজীবীকে রফা করতে থানায় ডেকে পাঠান আইসি। পাল্টা বেআইনী কলসেন্টারের মালিককে মদত দিয়ে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠছে আইসির বিরুদ্ধে।
শিলিগুড়ি এসএফ রোডের বাসিন্দা আইনজীবী রোহিত প্রসাদের অভিযোগ চলতি মাসের ২রা এপ্রিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের গৌরব শর্মার কাছে সে অভিযোগ জানায় গত বছর অক্টোবর মাস থেকেই শিলিগুড়ির এসএফ রোডের একটি টি প্যাকেজিং ও ওয়ার হাউসের কোম্পানি ভগত ইউনিভেরাতে কাজ করতেন তিনি।
আর ও পড়ুন হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে আরো এক গ্রেপ্তার
তখন তিনি আইনি ছাত্র হিসেবে আইনি বিষয়গুলি দেখতেন তিনি। তবে চারমাসের মধ্যেই সে জানতে পারে এই প্যাকেজিং এর আড়ালে রাজ্য সরকারের কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে একটি রিকভারিং এজেন্সির কল সেন্টার চলছে। সেখানে ১০-১৫জন যুবক যুবতী কাজ করে। এরপরই সে মালিক প্রজ্ঞা পারিখকে জানায় সে তাদের সঙ্গে এই বেআইনি কাজে করবে না। নিজ ইস্তফাও দেন তিনি। তবে তাকে লাগাতার চাপ দেওয়া হয়। তার অভিযোগ মহারাষ্ট্র থেকে এই টাকার আদান প্রদান চলে।
এককালীন ২কোটি টাকা কলসেন্টারের নাকে একাউন্টে এসেছে তাদের। মার্চ মাসে কোম্পানীতে ইস্তফা দিয়ে বিরাট এই বেআইনী চক্রের সম্পূর্ণ বিষয়টি ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ জানায় সে। তার অভিযোগ তার অভিযোগ রেজিস্টার করা হয়না ভক্তিনগর খানার তরফে। পাল্টা তাকে ফোন করে থানায় এসে মীমাংসার জন্য হুমকি দেন থানার আইসি অমরেশ সিং। থানায় গেলে আইসি বেআইনী কল সেন্টারের মালিক প্রজ্ঞা পারেখ ও রবি পারেখ ও তাদের কোম্পানীর সঙ্গে যুক্ত নবীন চাঙ্গিয়ার উপস্থিতিতে তাকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে অভিযোগ তুলে নেওয়া জন্য চাপ দেন। আইনজীবী সাফ মানা করায় হুমকি দেন আইসি।
আইনজীবীর বক্তব্য সে সময় ৪ঠা মার্চ সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। একমাসের বকেয়া বেতন ও তার ইস্তফা মঞ্জুরের দাবি জানায় সে আইসির সম্মুখে মালিকপক্ষের কাছে। তবে আইসি মালিক পক্ষের সপক্ষে মামলা সাজানোর কথা বলে তিন লক্ষ টাকা নেয়।আর আইনজীবীর বকেয়া ২০হাজার টাকা বেতন বাবদ তার একাউন্টে দেন মালিক পক্ষ। আইনজীবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পুলিশ কমিশনার জানান অভিযোগ পেয়েছি, ভক্তিনগর থানার আইসির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমারের নেতৃত্বে আইসির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অপরদিকে আইনজীবীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ওই কোম্পানির মালিক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে অনৈতিক টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার আইনজীবীকে ডেকে নিজ দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাস করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।