নববর্ষে শিলিগুড়ি শহরে উদ্বোধন হলো রাজ্য সরকারের প্রতীকী বিশ্ব বাংলা স্থাপত্যের। রাজধানী কলকাতার ধাঁচে শিলিগুড়ির গেটের কয়েক মিটারের দূরত্বে শহরের প্রবেশ পথ দার্জিলিং মোড়ে পুরনিগমের তরফে রাজ্যের প্রতীকী বিশ্ব বাংলা স্থাপত্য তৈরি করা হয়েছে। শান্তি নিকেতনের স্বনামধন্য ভাস্কর্যশিল্পী শুভাশীষ সাহার নকশায় এবং তার হাতেই তৈরি হয়েছে শিলিগুড়ির বুকে বিশ্ব বাংলার এই গ্লোবটি। পুরনিগমের তরফে ১৬লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের পর্যটন মুখী এলাকায় জাতীয় সড়ক ৫৫এর ওপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
শুক্রবার শিলিগুড়ির বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য মঙ্গল যাত্রার মধ্য দিয়ে দার্জিলিং মোড় এলাকায় বিশ্ব বাংলা গ্লোব উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ি পুর নিগমের মেয়র গৌতম দেব। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরো নিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন পুরো কমিশনার সোনাম ওয়াংদি ভুটিয়া, অন্যান্য মেয়র পরিষদ কাউন্সিলর এবং শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি হেডকোয়াটার জয় টুডু। মেয়র গৌতম দেব বলেন আমরা শিলিগুড়ি শহর জুড়ে স্থাপত্য ও ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটি রাজ্যের একটি প্রতীক। একদিকে শিলিগুড়ির প্রবেশমুখে এই স্থান, অন্যদিকে এই পথ ধরে শুকনা দার্জিলিং এর পথে রওনা দেন পর্যটকেরা।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
ফলে পর্যটকদের চোখে ধরা দেবে শহর শিলিগুড়ির নান্দনিকতা। এই জায়গায় তেনজিং নোরগের প্রতিকৃতি রয়েছে তার পাশেই এই গ্লোবটি করা হয়েছে। তেনজিং নোরগের প্রসঙ্গ উঠতেই আক্ষেপ প্রকাশ করে মেয়র বলেন তাকে ভারতরত্ন দেওয়া হয় উচিত ছিল তবে তা হয়নি। তিনি জানান রাতের বেলা আলোকোজ্জ্বল এক মায়াবী রূপ নেয় এই বিশ্ব বাংলা গ্লোব। কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় সড়কে ৩১হয়ে নতুন রূপ নেবে এই এলাকা। গ্লোবটির চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ এখনো কিছুটা বাকি রয়েছে। যা স্বনামধন্য ভাস্কর্যশিল্পের হাত ধরেই হবে। পাশাপাশি শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে স্টেশন পার্শ্ববর্তী এলাকা সংস্কার ও ঐতিহাসিক এই স্টেশনকে সম্পূর্ণ রূপে সাজিয়ে তোলার কথা জানান গৌতম দেব।