দুই প্রতিবেশির মধ্যে ঝগড়া থেকে সংঘর্ষ, গ্রেফতার তিন মহিলা। দুই প্রতিবেশির মধ্যে ঝগড়া থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। ঘটনাটি ঘটে কেতুগ্রাম থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাচ্চা ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা করার সময় প্রতিবেশীর বাড়িতে বল ছুড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে বচসা থেকে সংঘর্ষ ঘটে। ওই ঘটনায় তিন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃতদের নাম পূর্না দাস, তুলসী দাস ও টুম্পা দাস। তাদের বাড়ি কেতুগ্রামের কাঁদরা গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত্যুঞ্জয় দাস কাঁদরা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী ওই তিন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান তাদের প্রতিবেশী ওই পরিবারের সঙ্গে বিষয়সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ আগে থেকেই ছিল। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরে। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর ১২ বছরের নাতি ও তিন বছরের নাতনি বল নিয়ে তখন খেলা করছিল।
বাচ্চারা বল খেলতে খেলতে ছুড়ে দেয়।ওই বল গিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে পড়ে। তারপরেই শুরু হয় ঝামেলা। জানা যায় বল ছুড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর মৃত্যুঞ্জয়বাবুর বড় মেয়ে কৃষ্ণাদেবী পাড়ার কল থেকে জল আনতে গেলে প্রতিবেশী পূর্না দাস, তুলসী দাসদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ” ওরা বল ছোড়া নিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করতে করতে বাড়িতে চলে আসে।
তাদের সঙ্গে বাড়ির পুরুষরাও ছিল। হাতে লাঠিসোটা ছিল।আমাকে মারধর শুরু করে।” মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানান, তাকে মারতে দেখে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর স্ত্রী অলকাদেবী, ছেলে ছোটন, ছোট মেয়ে রত্না আটকাতে যান।তখন তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত্যুঞ্জয়বাবু সহ পরিবারের পাঁচজনই কমবেশি আহত হন। তাদের কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মৃত্যুঞ্জয়বাবু তারক দাস, পরেশ দাস, নোটন দাস ও ওই তিন মহিলা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন মহিলাকে গ্রেফতার করে। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে।