পুলিশ আধিকারিকের হাত বেধে আটকে রেখে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের- ভাইরাল ভিডিও। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হল একটি ভিডিও। কিন্তু কি এমন আছে ওই ভিডিও তে। দেখা যাচ্ছে,এক পুলিশ আধিকারিককে হাত বেধে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ভাটিবাড়ি পারোকাটা অঞ্চলে। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম পার্থ বর্মন। ভাটিবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির OC পদে কর্মরত তিনি।
শুক্রবার রাতে ভাটিবাড়ি পারোকাটা অঞ্চলের বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরে, তাঁর হাত বেধে বিক্ষোভ দেখান। আর সেই ভিডিওটিই পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমন ঘটল,তা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ রীতিমতো অভিযোগ তুলেছেন,যে গ্রামের এক মহিলাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ আধিকারিকের হাত বেঁধে বিক্ষোভ দেখায়। ওই মহিলা অভিযোগ জানিয়েছেন,তিনি শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ শৌচকর্ম সারতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন।
আর ঠিক সেই সময়ই তাঁকে খারাপ ইঙ্গিত করা হয়। এরপরই তিনি তার পরিবারের সদস্যদের ও আশপাশের লোকজনকে চিৎকার করে ডাকেন এবং গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন। আর তারপরই গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে ওই পুলিশ আধিকারিককে পাকড়াও করে, তাঁর হাত বেধে বিক্ষোভ দেখায়। আর হয়ত গ্রামবাসীদের মধ্যেই কেউ পুলিশ আধিকারিককে হাত বেঁধে আটকে রাখে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনাটির ছবি ও ভিডিয়ো মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা দাবী করেছেন কোনও মহিলাকে কু প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা ঘটেইনি।
কিন্তু ভিডিওর ওই পুলিশ আধিকারিকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভাটিবাড়ি পারোকাটা অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ ওয়াই রঘুবংশী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ”গ্রামবাসীদের সঙ্গে OC-র ভুল বোঝাবোঝি হয়েছিল। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া পুলিশ আধিকারিকের হাত বেধে বিক্ষোভ দেখানোর ভিডিয়োর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ওই পুলিশ আধিকারিক পার্থ বর্মন কোন প্রতিক্রিয়া দেন নি। অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে,”এলাকায় মেলা চলছিল। নিয়ম মতোই ওসি সেখানে গিয়েছিলেন। ওই এলাকার ঝড় বৃষ্টির পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। সেখানে রাতে তিনি কয়েকজনকে ডাকাডাকি করেন। সিভিল ড্রেসে ছিলেন ওসি। এরপরেই ভুল বোঝাবোঝির সূত্রপাত। আপাতত ওসিকে ওখান থেকে সরানো হয়েছে।” এছাড়া, পুলিশ সুপার বলেন, ”যা হয়েছে মিটে গিয়েছে।”