গাড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই নইমুদ্দিন সেখ বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর টাকা লুটপাট ও মহিলাকে মারধরের অভিযোগ।মালদার বৈষ্ণবনগর থানার শরীয়ত টোলা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ রেট করতে গেলে লুঠের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও বৈষ্ণবনগর থানার আইসিকে বারবার ফোন করা হলো ফোন ধরেননি তারা। এই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রতিক্রিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ আনিস সরকারের।
পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অবিলম্বে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত দাবি মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সারা ভারতবর্ষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। পুলিশ হলেও শাস্তি পাবে নিজের দলের লোকেরা হলেও শাস্তি পাবে প্রতিক্রিয়ার জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। পুরনো একটি মামলায় অভিযুক্ত গাড়ি ব্যবসায়ী ফাকির উদ্দিন আহমেদের বাড়িতে রেড করতে যান মালদার বৈষ্ণব নগর থানায় কর্তব্যরত এএসআই নইমুদ্দিন সেখ।অভিযোগ সেই সময় ফাকির উদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না।
তার স্ত্রী ববি বিবির অভিযোগ, লোহার গেটের হ্যাজবোল্ট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশকর্মীরা।বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুট করা হয় 45000 টাকা। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ববি বিবির অভিযোগ,গেট ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় পুলিশ।স্বামী বাড়িতে নেই বলতে হুমকি দেওয়া হয় তাকে। মারধরও করা হয়।পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডবের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কালিয়াচক 3 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকায় এই ধরনের তাণ্ডব করছেন ওই পুলিশ অফিসার নইমুদ্দিন সেখ।
আর ও পড়ুন শিলিগুড়িতে তৈরি হতে চলেছে বাইচুং ভুটিয়ার ফুটবল একাডেমি
আমরা তার শাস্তি চাই। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ আনিস সরকার বলেন,ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ আছে। পুলিশ রেড করতে গেছিল। রেড করতে গেলে অনেক সময় এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যত রকমের দুর্নীতির কাজ তারা করছে।
পুলিশ শাসকের দলদাসে পরিণত হলে যা হয় তাই হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায় তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, পুলিশ আইন শৃঙ্খলা দেখে, তার মানে এই নয় যে পুলিশ যেটা খুশি সেটা করবে। বিজেপি রং লাগানো কথা বলছে। তাদের রাজ্যগুলো দেখুক আগে। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পুলিশ হলেও শাস্তি পাবে নিজের দলের লোকেরাও হলেও শাস্তি পাবে।