যোগীরাজ্যে তাজমহলে ঢুকতে বাধা পেলেন গেরুয়াধারী এক সন্ন্যাসী! বিতর্ক । সম্প্রতি যোগীরাজ্যে সন্ন্যাসীর বেশে থাকা এক ব্যক্তিকে তাজমহলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে তোলপাড় উত্তরপ্রদেশ।সূত্রের খবর, গেরুয়া বসনধারী ওই সাধু ও তাঁর শিষ্যরা তাজমহলের ভেতরে ঢুকতে গেলেই তাদের পথ আটকে বাধা দেন CRPF। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার।এই ধরনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে আগ্রায়। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সন্ন্যাসীর হাতে লাঠি থাকায় তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর,ওই সন্ন্যাসীর পরিচয় তিনি অযোধ্যার ছাবনি এলাকার জগৎগুরু পরমহংসাচার্য মহারাজ।তিনি তাঁর তিন শিষ্যকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাজমহল দর্শনে যান।
কিন্তু, তাজমহলের ভেতরে ঢুকতে গেলেই তাঁর পথ আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে সেখানে নিযুক্ত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের নির্দেশেই এই সন্ন্যাসীকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ওই মহারাজ অভিযোগ জানান, তাদের গেরুয়া বসন এর জন্যই তাঁদের বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের চোখের সামনেই অন্য পর্যটকরা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারলেও তাঁদের সেখান থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ও অভিযোগ উঠেছে।এমনকি সন্ন্যাসী জানিয়েছেন যে সন্ন্যাসী এবং তাঁর শিষ্যদের কাটা টিকিট নিয়ে অন্য পর্যটকদের দিয়ে ও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন – সার্বিকভাবে শেষ হল উচ্চমাধ্যমিক- কবে বেরোবে ফলাফল!
একইসঙ্গে অয্যোধার ওই সাধুর কথায়, ”ওখানে উপস্থিত পর্যটকরা আমাদের গেরুয়া বসন নিয়ে হাসিঠাট্টাও করছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সামনেই আমাদের নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে।” আর খোদ যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এই ধরনের ঘটনায় প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে পুরাতত্ত্ববিদ রাজকুমার প্যাটেল বলেন, ”ওই সন্ন্যাসীর কাছে একটি ধর্মদণ্ড ছিল। সেটি দেখেই নিরাপত্তরক্ষীরা তাঁর পথ আটকায়। ধর্মদণ্ডটি রেখে ভেতরে যাওয়ার কথা বলা হয় তাঁকে। যদিও তিনি সেই শর্ত মানতে নারাজ ছিলেন। এরপর ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা আমার জানা নেই।”