দুর্ঘটনার কবলে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেনের গাড়ি!”স্বাভাবিক নয়” বললেন বিরোধীরা! মঙ্গলবার রাতে বীরভূমের ইলামবাজার এলাকায় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেনের গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে।সূত্রের খবর,এই দুর্ঘটনার ফলে তাঁর পরিবারের এক আত্মীয় সহ তাঁর ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়। কিন্তু দেহরক্ষীর এই গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়টিকেই একেবারেই স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন না রাজ্যের বিরোধী দল নেতারা।কারণ স্পষ্টত অনুপম হাজরা থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার সকলেই এই ঘটনার নেপথ্যে কোন চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
তাদের বক্তব্য, “এই দুর্ঘটনার পেছনে কোন বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে।” এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন যে বর্তমানের গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর দেহরক্ষীকেও তলব করেছিল সিবিআই আধিকারিকরা।এদিকে, সিবিআই আধিকারিকরা বারবার অনুব্রত মণ্ডল কে তলব করলেও তিনি কিছুতেই হাজিরা দেন নি। তাই ফলে জিজ্ঞাসাবাদ ঠিকমত এগোচ্ছে না।
কিন্তু আবার এই মামলাতেই সাইগেল হোসেন অনুব্রত মণ্ডলের সবথেকে বেশি বিশ্বস্ত। তাই হঠাৎ তাঁর জীবনে নেমে আসা এমন দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে চাইছেন না রাজ্যের বিরোধী দল নেতারা। সিবিআই তলব নিয়ে এই টানাপোড়েন পরিস্থিতির মধ্যে এই দুর্ঘটনার জন্য বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন – সার্বিকভাবে শেষ হল উচ্চমাধ্যমিক- কবে বেরোবে ফলাফল!
প্রসঙ্গত,জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সাইগেল হোসেন তাঁর পরিবারসহ দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন । কিন্তু,গভীর রাতে ইলামবাজার হয়ে বোলপুরে ফিরেছিলেন। আর ঠিক সেই সময়ই একটি ডাম্পারের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে সাইগেল হোসেনের একটি গাড়ির যে গাড়িতে তাঁর পরিচিত এক পেট্রোল পাম্প মালিক মাধব দাস সহ তাঁর ছোট মেয়ে ছিল।ঘটনাস্থলেই তাদের দু’জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে পেছনের গাড়িটিতে সাইগেল হোসেন তাঁর স্ত্রী এবং বড় মেয়েকে নিয়ে ছিলেন।সেই গাড়িটির ক্ষতি হয় নি। ফলে তারা দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান বলে সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে।