আবার বিধায়কের সাথে ব্লক সভাপতির বিরোধ প্রকাশ্যে। দলকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বিস্ফোরক অভিযোগ রতুয়া ১নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজলুর হকের। পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ডাকা হচ্ছে না দলীয় কর্মসূচিতে। ব্লক সভাপতি কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করলে তার পাল্টা কর্মসূচি করছেন বিধায়ক অভিযোগ ফজলুল হকের। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি।
এই বিষয়ে সমর মুখোপাধ্যায়ের কোন প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর প্রতিক্রিয়া উনি কতদিনের পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আমার জানা নেই।উনি আগে কংগ্রেস করতেন। এখন তৃণমূল করেন সেটা ঠিক আছে। বিধানসভা নির্বাচনে সমর মুখোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট করেননি ব্লক প্রেসিডেন্ট তাই বিধায়ক ক্ষুব্দ আছেন। তৃণমূলের অভ্যন্তরের বিরোধকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন – ২রা মে থেকে স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
আবার প্রকাশ্যে চলে এলো রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও ব্লক সভাপতি ফজলুর হকের বিরোধ। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ফজলুর হক অভিযোগ করে বলেন, ৮৪ বছর বয়সে সমযর মুখোপাধ্যায়ের পাগলামি করে আমাদের দল টাকে ধ্বংস করছে। বিধায়ক কাদের খানের মতো অভিনয় করছেন আর আমাদের দল টাকে ধ্বংস করছেন। তার সঙ্গে সঙ্গ দিচ্ছেন আমাদের জেলা প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি সমর মুখোপাধ্যায়ের কাঁধে বন্দুক রেখে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন।
আমরা যারা অনেক কষ্ট করে অনেক অপমানিত হয়ে দলটাকে প্রতিষ্ঠা করেছি, সেই তৃণমূল কংগ্রেস টাকে শেষ করতে চাইছে। দলীয় কোনো কর্মসূচিতে আমাদের ডাকা হচ্ছে না। আমি কোনো কর্মসূচি করলে তার পাল্টা কর্মসূচি করা হচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, উনি কবে কার পুরনো তৃণমূল আমার জানা নেই।উনি কংগ্রেস করতো দীর্ঘদিন ধরে। তবে উনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যুক্ত আছেন।সমর মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যে কথা বলছেন তাদের জন্মের আগে থেকে সমর মুখোপাধ্যায় রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন।
সমর মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য ফজলুল সাহেব বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নয় বিজেপির ভোট করেছে। যেহেতু আসল চেহারা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বিধায়ক তাই আক্রমণাত্মক হয়ে বিধায়ক কে আক্রমণ করা হচ্ছে। দলের একটা পরিকাঠামো আছে কারো কিছু বক্তব্য থাকলে সেটা দলের মধ্যে বলতে হবে। বাইরে বললে সেটা দল বিরোধী কাজের মধ্যে পড়ে। প্রমাণ হলে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
এই বিষয়ে উত্তর মালদা বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূল হচ্ছে ইউজ এন্ড থ্রো পার্টি। দলের নেতাদের এরা ব্যবহার করে, সাফল্য এনে দিলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।