শীতলকুচি কাণ্ডে নিহতের পরিবারের সদস্য এর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত নুর আলম এর দিদি জাবেদুন খাতুনের হাতে হোম গার্ড এর নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি বলেন এই নিয়োগপত্র নুর আলমের মাকে প্রথমে দেওয়া হয়েছিল। তিনি চাকরি করতে অস্বীকার করায় পরবর্তীতে এই আবেদন পত্র নবান্ন পাঠানো হয়।
এবং সেখান থেকেই নির্দেশ আসে তার দিদিকে পুনর্বহাল করার। এদিন কোচবিহার আরক্ষা ভবন এ তার হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরে তিনি কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বাড়িতেই সৌজন্য সাক্ষাতে জান। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কোচবিহার জেলা তৃনমূল শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, নুর আলমের মার যথেষ্ট বয়স হয়েছিল।
আর ও পড়ুন ভিটেমাটিতে ফিরে এলো সাতটি পরিবার
তার পক্ষেই কাজ করা সম্ভব ছিল না। পরিবারের তরফ থেকে আবেদন আসে যেই চাকরীটা পরিবারের অপর একজন সদস্যকে দেওয়া হোক। সেই এই কারণেই নবান্নে আবেদন করা হয় এবং দিদি জাবেদুন খাতুনকে নিয়োগ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার তিনি কথা রেখেছেন। যে ভাবে বিনা প্ররোচনায় ভাজপার হয়ে কাজ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে নীরিহ মানুষদের খুন করেছিল তা ক্ষমাহীন অপরাধ। দোষীদের চরম শাস্তি হবেই।
উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত নুর আলম এর দিদি জাবেদুন খাতুনের হাতে হোম গার্ড এর নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি বলেন এই নিয়োগপত্র নুর আলমের মাকে প্রথমে দেওয়া হয়েছিল। তিনি চাকরি করতে অস্বীকার করায় পরবর্তীতে এই আবেদন পত্র নবান্ন পাঠানো হয়।