আমরা কারও তাবেদার নই, আমরা আমাদের মতো চলি’ আপ্ত সহায়কের গ্রেফতারির পর মহুয়াকে তোপ তৃণমূল বিধায়কের। সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক। এমনকি এই একই অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও। আর এর বিতর্কের মাঝেই ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ লেখা পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার সেই পোস্টের পাল্টা জবাব দিলেন তাপস সাহা।
মহুয়া একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন, দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না – চাকরি দেওয়ার নাম করে, TET প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ বা কারা যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এক্ষুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন। ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই – তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন – চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।”
আর ও পড়ুন দিনের পর দিন শ্মশানে দাহ হচ্ছে, অথচ নজরদারি নেই প্রশাসনের
এই পোস্টের জবাব দিতে গিয়ে তাপস সাহা বলেন, “মহুয়া আমাদের দলের সাংসদ। তাঁর ফেসবুক পোস্ট কাকে উদ্দেশ্য করে ছিল তা কার্যত স্পষ্ট নয়। সাংসদ হোক বা যাই হোক আমরা কারও তাবেদার নই। আমরা আমাদের মতো চলি। কিন্তু, দেখেছি গত বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা আমার বিরোধিতা করেছে মহুয়া তাঁদের নিয়ে চলে। মহুয়া উপদলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সাংসদ সবাইকে নিয়ে চলুক এটাই চাইব।”
প্রসঙ্গত,রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক সহ তিনজনকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রায়দিঘি থেকে তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল এবং তাঁর দুই সঙ্গী শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুক্রবার। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন আপ্ত সহায়কের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। এমনকি তিনি বলেছেন, প্রবীর কয়াল তার কোনোদিনই আপ্ত সহায়ক ছিল না। শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মন্ডলকে তিনি চেনেন না।