মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়কাল শেষ হওয়ার আগেই বাংলার সিংহাসন দখল করতে চাইছেন ভাইপো, দিলীপ। বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার শাসনকাল শেষ হয়ে যাবার আগেই নাকি খোদ তার ভাইপো তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চাইছেন মমতা কে সরিয়ে।ঠিক এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগে টিএমসি মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জল্পনার ঝড় উঠেছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে।সেই ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লেখেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।”
কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই আলোড়ন শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে।এদিকে, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,”তৃণমূলের লোকেরাই চাইছে না ‘উনি’ মুখ্যমন্ত্রী থাকুক। দলের একটা বিরাট অংশ এখন থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পেতে চাইছেন।” বুধবার দিলীপ বলেন, “এটাই আসল, এটা করানো হচ্ছে । কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জায়গা ছাড়ছেন না। ২০১৯ থেকে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে বলে ব্যানার লাগিয়ে হাওয়া দিয়ে ব্রিগেডের সভা করে আওয়াজ দেওয়া হয়েছিল দিদিকে দিল্লি পাঠানোর জন্য। দিদি তখন ৩৪ থেকে ২২-এ নেমে গেল। ১২টা আসন গায়েব হয়ে গেল। ওঁর বোঝা উচিত ছিল যে তাঁর পার্টির লোকেরা তাঁকে চাইছে না মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। তিনি পিছনের দরজা দিয়ে আবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন।”
আর তাই দিলীপের দাবী,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই মসনদ দখল করতে চাইছেন তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।টি এমসি দলের অনেকেরই এর পিছনে মদত রয়েছে।”এই অভিযোগ করে দিলীপ আরো বলেন, “পুনরায় হাওয়া তোলা হয়েছে যে এবার অনেক হয়েছে ২৪-এর মধ্যে আপনি বিছানা গুটিয়ে ফেলুন। দিল্লি যেতে হবে। ছেড়ে দিতে হবে গদি। এটা একপ্রকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওখান থেকে সরানোর জন্য এই ধরনের একটা মুভমেন্ট তৈরি করা হয়েছে।”
তবে এসবের মাঝখানে তাকে অমিত শাহর বাংলায় সফরের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে দিলীপ বলেন, ” আমরা আগেই বলেছিলাম ওঁকে আসতে। নির্বাচনে উনি ব্যস্ত ছিলেন। আগে অমিত শাহ’জি আসছেন, পরের মাসে হয়তো নাড্ডা’জি আসবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা আসতে বলেছি। বঙ্গ বিজেপি আবার নিজের মতো করে লড়াই করে রাস্তায় নেমেছে, কেন্দ্রীয় নেতারাও এতে খুশি। তারা বাংলায় আসবেন এবং আমাদেরকে আবার আগের মতো করে পরিচালনা করবেন।”